পটুয়াখালী

বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

পটুয়াখালী, ১৮ জুন – পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মো. দেলোয়ার হোসেন ফরাজী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ বাবা।

গত সোমবার দুপুরে উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামে এই বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতনের এই ভিডিওটি বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দেলোয়ার হোসেন ফরাজী বাদী হয়ে তার তিন সন্তান ও বড় ছেলের বউকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

বিচারক এ মামলাটি আমলে নিয়ে তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে জানান ওসি।

বিবাদীরা হলেন, নির্যাতনকারী ছেলে ফিরোজ ফরাজী (৩২), আলমাছ ফরাজী (৪৮), আজমল ফরাজী (৪০) ও আলমাছের স্ত্রী চরমোন্তাজ ইউপির সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমা বেগম (৪০)। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ দোলোয়ার হোসেন ফরাজীর বাড়ি জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ এলাকায়।তার পুত্রবধূ নাজমা বেগম ওই এলাকার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার।

ঘটনার দিন বৃদ্ধ দেলোয়ার ফরাজী তার বড় ছেলে আলমাছে ফরাজীর ইউপি সদস্যা বউকে চোর বললে তার ছোট ছেলে ফিরোজ ফরাজী ভাবীর পক্ষ নিয়ে বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতন করেন।

পরে বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুকে পোস্টকৃত নির্যাতনের ঘটনার ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলে তার বৃদ্ধ বাবাকে টেনেহিচড়ে একটি খালের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। একপর্যায়ে বাবার গায়ের গেঞ্জিটাকে টেনেহিচড়ে ছিঁড়ে ফেলছেন ছোট ছেলে ফিরোজ ফরাজী। এ সময় আশপাশের লোকজন তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলেন। পরে পিছনে পিছনে ছুটে আসা একজন নারী ফিরোজ ফারাজীকে থামতে বলছেন। কিন্তু ফিরোজ তাতেও থামেনি।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই বৃদ্ধ বাবার ওপর এই হামলা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত বড় ছেলে আলমাছ ফরাজী বলেন, ‘বাবাকে আমরা কেউই নির্যাতন করিনি। আমার বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি সময় বিরোধী পক্ষের লোকদের পক্ষালম্বন করে আমাদের হেনস্তা করেন।

সূত্র : সমকাল
এম এউ, ১৮জুন

Back to top button