এশিয়া

মিয়ানমারে গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী, নিহত ২

নেপিডো, ১৭ জুন – মিয়ানমারে স্থানীয় এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর সেনাবাহিনী পুরো একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ জন। মঙ্গলবার দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় কিন মা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই গ্রামে বাসিন্দা ছিল ৮০০ জন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, মঙ্গলবার কিন মা গ্রামে আক্রমণ করে সেনাবাহিনী। তারা গ্রামের ২৪০টি বাড়ির মধ্যে ২০০টি বাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়।

সেনাবাহিনীর এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত ড্যান শুগ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সেনা সদস্যরা মাগওয়ের একটি পুরো গ্রাম পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এতে সেখানকার ২ বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সামরিক বাহিনী যে ভয়ঙ্কর অপরাধ করে চলেছে, এই ঘটনার মাধ্যমে তা আবারও প্রদর্শিত হলো এবং এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে- মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন অবশ্য এই ঘটনার জন্য ‘সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করেছে।

কিন মা গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) নামে একটি সশস্ত্র গেরিলা সংগঠনের যোদ্ধাদের সঙ্গে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এরপরই গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেনা সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ ধরনের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়েছে। ঘরোয়াভাবে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েই তারা জান্তা সরকারের পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

অন্য এক বাসিন্দা বলেন, গ্রামে ঢুকে সেনাবাহিনী গুলি চালানো ও বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ তাণ্ডব শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে তিনি ও আশপাশের লোকজন পাশের জঙ্গলে পালিয়ে যান। কিন্তু দু’জন বৃদ্ধ লোক পালাতে পারেননি। তারা ঘরের ভেতরেই আগুনে পুড়ে মারা যান। সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকে আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সূত্র : ঢাকাটাইমস
এন এইচ, ১৭ জুন

Back to top button