আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের সেনাপ্রধানের বার্তা
বাকু, ১৮ অক্টোবর- আর্মেনিয়ার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন আজারবাইজানের সেনাপ্রধান ও দেশটির প্রেসডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ।
রোববার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনার আইভাজভ সেনাপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, অভিযানিক অঞ্চলে মানবিক যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ নিশ্চিত করেছে সরকার; আজারবাইজানি সেনাবাহিনী অঞ্চলটির মৃতদেহ সংগ্রহ ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় শর্ত সৃষ্টি করছে। খবর-আজভিশনের।
‘আমরা সতর্ক করছি যদি আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী ধারাবাহিকভাবে অভিযানিক অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি ও মানবিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তাহলে আমাদের সেনাবাহিনী আরও কঠোর ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবে।’
‘অপ্রত্যাশিতভাবে আর্মেনিয়ার শাসক মানবিক যুদ্ধবিরতি আগের মতো লঙ্ঘন করছে এবং জাবরাইলসহ মুক্ত অঞ্চলে গোলা নিক্ষেপ করছে। আজারবাইজানের সেনাদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সীমান্তে আর্মেনিয়ার বাহিনী গুলি করছে। ’
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে ম্যারথন আলোচনা হয়।
এতে উভয় পক্ষ মানবিক কারণে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবন্দিসহ অন্যান্য বন্দি বিনিময় ও মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মত হয়।
১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান পরস্পরকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘেনের জন্য অভিযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠল ইরানের ওপর থেকে
দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতির পরপরই গানজাতে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৫০ জন।
কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকেই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
সূত্র: যুগান্তর
আর/০৮:১৪/১৮ অক্টোবর