যশোর

যশোর সদর উপজেলার উপনির্বাচন: মধ্যরাত থেকে প্রচারণা বন্ধ

যশোর, ১৯ অক্টোবর- যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসন। রোববার (১৮ অক্টোবর) মধ্যরাত (১২টা) থেকে বন্ধ হচ্ছে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা।

এদিকে, আগামী ২০ অক্টোবর উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা মূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২০ অক্টোবর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটারের ভোটগ্রহণ করা হবে ১৭৫টি কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্রে সার্বিক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও ১ হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত থাকবে।

সদর উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে ২টি ইউনিয়ন (নরেন্দ্রপুর ও কচুয়া) ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

করোনার সংক্রমণ থেকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে সাবান-পানির ব্যবস্থা থাকছে। সেইসঙ্গে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের আব্যশক করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার ও ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মধ্যে মাস্ক সরবরাহ করা হবে।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকছে। নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিশিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫শ’ পুলিশ সদস্য, ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। ১৮টি মোবাইল টিম ও ৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্সের ৬টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিয়োজিত রাখা হবে।

রোববার শেষদিন হওয়ায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তার কর্মীরা। নির্বাচনে জয়ী হতে বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের মন জয় করতে সকাল থেকে মধ্যেরাত অবধি মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন দুই প্রার্থীই। দুই প্রার্থীই সুষ্ঠুভোট গ্রহণে আশাবাদী। সেইসঙ্গে দুইজনই বিজয়ী হওয়ার আশাবাদী।

আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসের হয়রানির অভিযোগে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ

জেলা সিনিয়ন নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন অফিস ও প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচনের দিন সকালে নির্বাচনী কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রত্যেকটি কেন্দ্রের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বক্স, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তাকে ১৬ অক্টোবর জিলা স্কুলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মধ্যে নরেন্দ্রপুর ও কচুয়া ইউনিয়েন ১৮টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সেইখানকার প্রার্থীদের কর্মীসমার্থক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্য কেন্দ্রে থেকে বিরুপ হওয়ায় জেলা নির্বাচন কমিশন ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলাসহ দেশের ৮টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও দু’টি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নির্বাচনে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের নুরজাহান ইসলাম নীরা ও বিএনপির নূর উন নবী এবং স্বতন্ত্রভাবে জমা দিয়েছিলেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও বিএনপির সিরাজুল ইসলাম। এর মধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাচাইকালে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা ও বিএনপির ধানের শীর্ষের প্রতীকের প্রার্থী নূর উন নবীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের আগে শাহীন চাকলাদার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করে।

সুত্র : বাংলানিউজ
এম এন / ১৯ অক্টোবর

Back to top button