সচেতনতা

গ্লুকোমার কারণ ও প্রতিরোধের উপায়

গ্লুকোমা চোখের এমন এক সমস্যা যার কারণে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যাদের গ্লুকোমা আছে তারা ধীরে ধীরে অথবা কোনো লক্ষণ ছাড়াই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন।

নানা কারণে গ্লুকোমা হতে পারে। যেমন-

১. বছর ৪০ বছরের ওপরে হলে

২. যাদের পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস আছে

৩. যাদের দৃষ্টিশক্তি আগে থেকেই ক্ষীণ

৪. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে

৫. উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, রক্তশূন্যতা থাকলে

৬. দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে

৭. চোখের আঘাত, প্রদাহ থাকলে

৮. চোখের প্রেসার বেশি থাকলে

গ্লুকোমা হলে অনেক সময় নানা উপসর্গ প্রকাশ পায়। যেমন-চোখে তীব্র ব্যথা, স্বল্প আলোতে দেখতে সমস্যা হওয়া, চোখ লাল হওয়া, বমি বমি ভাব ও প্রচণ্ড মাথা ব্যথা ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্লুকোমায় দৃষ্টি হারালে তা আর ফিরে পাওয়া যায় না। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা ও অন্ধত্ব রোধ করা যায়। গ্লুকোমা প্রতিরোধে যা করণীয়-

১. নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের বয়স ৪০ বছরের ওপরে এবং যাদের পরিবারে গ্লুকোমার ইতিহাস আছে তারা প্রতি বছর অন্তত একবার করে চোখের পরীক্ষা করাবেন। মনে রাখবেন, যত তাড়াতাড়ি এ সমস্যা ধরা পড়বে তত তাড়াতাড়ি এর চিকিৎসা সম্ভব হবে।

২. পরিবারের কারও গ্লুকোমা ছিল বা আছে কিনা তা জেনে নিন।

আরও পড়ুন: যেসব খাবার খেলে দূর হয় অবসাদ

৩. চোখের প্রেসার বেশি থাকলে চিকিৎসক যেভাবে ব্যবস্থাপত্র দেবেন সেটা মেনে চলুন।

৪. নিয়মিত পরিমিত আকারে ব্যায়াম করলে চোখের প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ঘরের কাজ বা খেলাধূলার সময় চোখে প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিন।

আডি/ ১৮ অক্টোবর

Back to top button