মৌলভীবাজার

ঝুঁকি নিয়ে দাপ্তরিক কাজ চলছে বড়লেখা আদালতে

মৌলভীবাজার, ০২ জুন– বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দাপ্তরিক কাজ চলছে ঝুঁকি নিয়ে। আদালতের হাজতখানার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে মাটিতে। সেটি তাই এখন অরক্ষিত। জরাজীর্ণ ভবনের দেয়াল ও ছাদ ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা কোর্ট পরিচালনার জন্য বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। পরে সরকারি আদেশে তা প্রত্যাহার করা হয়। থেকে যায় ভবনটি। ২০০৪ সালে দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সরকারি সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ১২ বছর অরক্ষিত ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। ইতিপূর্বে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি এজলাসে বিচারকার্যচলাকালে ছাদের পলেস্তারা-খোয়া ভেঙে আইনজীবীদের মাথায় পড়ারও ঘটনা ঘটেছে। সামান্য মেরামত করেই কর্তৃপক্ষ দায় সেরেছে। সর্বশেষ গত ২৮ মে আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৩০ ফুট সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। ব্যবহার অনুপযোগী এই ভবনেই রয়েছে আদালতের এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ ও নারী হাজতখানা। অরক্ষিত বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত আলামত। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদ চুইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি। ভবন সংকটে নারী হাজতখানায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে থাকেন আদালতের স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা।

আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত জানান, ড্যামেজ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছে। নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করা জরুরি। কোর্টের জিআরও মুজিবুর রহমান জানান, হাজতখানার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ায় থানায় জিডি করেছেন।

সূত্র : আমাদের সময়
এম এন / ০২ জুন

Back to top button