শিক্ষা

১৫ জুন থেকে ঢাবির অনার্স ও মাস্টার্সের স্থগিত পরীক্ষা শুরু

ঢাকা, ০২ জুন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেশনজট নিরসনকল্পে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা আগামী ১৫ জুন ২০২১ তারিখ থেকে সশরীরে নেয়া হবে। মঙ্গলবার(১ জুন) ভার্চুয়ালি একাডেমিক কাউন্সিলের বিশেষ সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তে আরও জানানো হয়, একইশর্তে একাডেমিক কাউন্সিলের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে হার্ডওয়্যার ও ওয়েটল্যাব ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা ব্যতিত সকল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবাসিক হল না খোলার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট পরীক্ষাসমূহ গ্রহণ করবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। একইশর্তে অ্যকাডেমিক কাউন্সিলের পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১ জুলাই ২০২১ থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে ব্যবহারিক পরীক্ষা ব্যতীত সকল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হবে।

এতে আরো বলা হয়, একই শর্তে অন্যান্য সেমিস্টার ফাইনাল, বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসমূহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ১লা জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে হার্ডওয়্যার ও ওয়েটল্যাব ভিত্তিক ব্যবহারিক পরীক্ষা ব্যতিত সকল পরীক্ষা অনলাইনে নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর র্অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণ সংযুক্ত ছিলেন।

সভায় সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ‘ক্ষতি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। পরিকল্পনার আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারকাল ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশসহ পরীক্ষার শিফট সংখ্যা বৃদ্ধি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সূত্র : বিডি২৪লাইভ
এন এইচ, ০২ জুন

Back to top button