সিলেট

ছিনতাইকৃত ২ মোটরসাইকেলসহ ৭ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

সিলেট, ০২ জুন – সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল ছিনতাইকারীসহ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সাথে ছিনতাইকৃত ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিন বুড়দেও গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সজল আহমদ (২৪), এসএমপি শাহপরান থানার ইসলামপুর এলাকার মৃত বদরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম রায়হান (২০), এসএমপি শাহপরান থানাধীন সুরমা গেট এলাকার বশির আহমদের ছেলে আল আমিন হোসেন শিমুল (২০), একই এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে জিহাদ (২০), কানাইঘাট থানাধীন ঢালাইচর গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে আলী হোসেন জনি (২৪), শিবনগর গ্রামের এবাদত রহমানের ছেলে মারুফ আহমদ (২৭) ও শ্রীপুর গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলাল।

রোববার বিকাল ৫টা থেকে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর), কোম্পানীগঞ্জ থানা ও কানাইঘাট থানার কয়েকটি টিম কানাইঘাট থানা, এসএমপি এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

আসামিদের ইতোমধ্যে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১০ মে সন্ধ্যার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন দয়ারবাজার পয়েন্ট থেকে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক কোম্পানীগঞ্জ কালিবাড়ী গ্রামের বিলাল আহমদকে এক ছদ্দবেশী ছিনতাইকারী ভাড়ায় বুড়িডহর গ্রামে যাওয়ার জন্য ৩৫০ টাকায় চুক্তি করে। রাত সাড়ে ৭টার সময় সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাত দুই ছিনতাইকারী রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। পরে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীসহ অজ্ঞাত দুইজন ছুরি দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বিলাল আহমদের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জে এরকম যাত্রীবেশী কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম উদ্বেগ প্রকাশ করে ছিনতাইকারী চক্রকে গ্রেপ্তারের জন্য তিনি নির্দেশনা দেন। নির্দেশ পেয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা শাখা ছিনতাইকারী চক্রকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে (রোববার) বিকাল পাঁচটা থেকে ৩১ মে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর), কোম্পানীগঞ্জ থানা এবং কানাইঘাট থানার কয়েকটি টিম কানাইঘাট থানা, এসএমপি এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের ভাষ্য, আটক সাতজনের মধ্যে সজল আহমদ ঘটনার সময় সরাসরি ছিনতাইকাজে অংশ নেয়। অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল একে অপরের নিকট বিক্রি করেছে। সবশেষ বিবাদী মারুফের হেফাজত থেকে ভিকটিমের ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আসামি আল আমিন শিমুলের তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যেটি আপাতত চোরাই মোটরসাইকেল বলা ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যপারে ভিকটিম বিলালের অভিযোগের ভিত্তিতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি সজলের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানা, এসএমপি কোতয়ালী এবং এয়ারপোর্ট থানায় ইতিপূর্বে ছিনতাইসহ (দ্রুত বিচার) মোট ৮টি মামলা রয়েছে। আসামি রায়হানের বিরুদ্ধে এসএমপি শাহপরান থানায় ২টি দ্রুত বিচার এবং অপর একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে। আসামি দুলালের বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট, হত্যা চেষ্টাসহ মোট ৪ টি মামলা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, সাম্প্রতিককালে কোম্পানীগঞ্জসহ বেশ কিছু এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের ক্লোজ মনিটরিংয়ে কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট থানা এবং ডিবির কয়েকটি টিম বিরামহীন অভিযানে মূল ছিনতাইকারীসহ চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য ছিনতাইকারী গ্রেপ্তারসহ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০২ জুন

Back to top button