লকডাউন উপেক্ষা করে চলছে দূরপাল্লার বাস
সিরাজগঞ্জ, ২২ মে– করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষিত লকডাউন অমান্য করে চলছে দূরপাল্লার বাস। ঈদের পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে রাতে দূরপাল্লার বাসগুলো পারাপার হচ্ছে। অধিকাংশ বাস বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
মহাসড়কে দায়িত্ব থাকা বেশ কয়েকজন পুলিশ বলছেন, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দূরপাল্লার বাস চলতে পারে। বাস চলাচল বন্ধে পুলিশ কঠোর হলেই চলবে না, বাস মালিক-শ্রমিক ও যাত্রীরা সচেতন হতে হবে। সবকিছু পুলিশের রোধ করা সম্ভব হয় না।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, শুক্রবার (২১ মে) সকাল ছয়টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩১ হাজার ১১৪টি যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪ টাকা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ১৩শ’র বেশি যাত্রীবাস পার হয়েছে।
সরেজমিনে মহাসড়কে দেখা গেছে, পুলিশ তল্লাশি থাকলেও ভোরের দিকে বিভিন্ন জেলার দূরপাল্লার কিছু বাস সেতু পার হয়ে যাচ্ছে। দিনভর ঢাকা-রংপুর তারাগঞ্জ লেখা থ্রিস্টার পরিবহন, ঢাকা-বগুড়া লেখা রাকিব পরিবহন, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা অভি, ঢাকা-কুষ্টিয়া লেখা লালন পরিবহন, শিউলি পরিবহনসহ অনেক দূরপাল্লার বাস মহাসড়কটিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে যাত্রী কম থাকলেও ঢাকামুখী বাসগুলোতে যাত্রী ছিল ভরপুর।
মহাসড়কের পাশে স্থানীয় দোকানদারা আশরাফুল জানান, বাসগুলো যখন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা-বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সেতুর পশ্চিম পাশে আসে তখন পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় যাত্রীদের সাথে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বাসগুলোকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে মহাসড়কে অবাধে দূরপাল্লার বাস চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। তবে রাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো সেতুর পশ্চিমপাড়ে আটকে দিলে যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে দুই-একটি বাস ছেড়ে দিতে হয়। প্রতিদিন অসংখ্য বাস ফেরত পাঠানো হচ্ছে, মামলা দেয়া হচ্ছে। আজকেও অন্তত ১৫টি বাস আটকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সূত্র : আরটিভি
এম এন / ২২ মে