বরিশাল

স্কুলের মাঠ দখল করে সাবেক চেয়ারম্যানের বালুর ব্যবসা

বরিশাল, ২০ মে– বরিশালের বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ অবৈধভাবে দখল করে বালুর ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দকাঠি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কান্ত সরকার এ ব্যপারে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছেও এ অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দকাঠির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের একাংশ দখল করে বালুর ব্যবসা করে আসছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার সময় বাতাসে বালু উড়ে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে ফেলেছিল। সেই থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কান্ত সরকার বালু ব্যবসায়ী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধাকে মাঠ পরিস্কার করে অন্যত্র বালু ব্যবসা করার জন্য অনুরোধ জানালেও তিনি তাতে কোন কর্নপাত করেননি। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করা প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধার বিরুদ্ধে ওই স্কুল সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর শাখা কঁচা নদীর তীরের সরকারি খাস সম্পত্তি দখল করে রাইস মিল নির্মাণসহ ইট, বিভিন্ন ধরণের বালু, খোয়া ও ধান-চালের (কুটিয়ালী ) ব্যবসা করারও অভিযোগ রয়েছে।

সৈয়দকাঠি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন কান্ত সরকার বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মাঠের একাংশ দখল করে বালুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি মাঠ পরিস্কার করে দেননি। স্কুল খোলার পরে বালু উড়ে শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও শিক্ষকদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এছাড়া বাতাসে বালু উড়ে পথচারী,স্কুল সংলগ্ন বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে সৈয়দকাঠির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, সরকারি ভাবে পাওয়া ভূমিহীনদের সম্পত্তি তিনি ক্রয় করে সেখানে বালুসহ বিভিন্ন ব্যবসা করছেন এবং সেই সম্পত্তির কিছু অংশ ওই স্কুলেও দান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহা, তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

সূত্র : কালের কণ্ঠ
এম এন / ২০ মে

Back to top button