ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বড় ব্যবধানে জিতেছে নাজমুল একাদশ
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর- প্রথম দেখায় নাজমুল একাদশের কাছে পাত্তাই পায়নি মাহমুদউল্লাহ একাদশ। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে দ্বিতীয়বারের দেখায় মাহমুদউল্লাহদের উড়িয়ে দিয়েছে মুশফিক-নাজমুলের দল। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে তারা ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই হোঁচট খায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ৩.২ ওভারে আল আমিনের বলে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে করেন ৪ রান; ১৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
ইমরুলের ফেরার পর মুমিনুলের সঙ্গে ছন্দে ফেরার আভাস দেন লিটন দাস। ভালো শুরু করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না। দলীয় ৩৯ রানে লিটনকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তরুণ বোলার নাসুম আহমেদ। পাঁচ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ২৭ রান করেন লিটন।
থিতু হতে পারলেন না মুমিনুলও। ১৩ রানে মুমিনুলকে নিজের শিকার বানান আবু জায়েদ রাহি। দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহও। নাসুমের বলেই এলবির শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মাহমুদুল হাসানকেও আউট করেন নাসুম।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ একাদশ। শেষ পর্যন্ত ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানে থামে মাহমুদউল্লাহর দল।
আরও পড়ুন: আইসিসি চেয়ারম্যান হতে রাজি নন সৌরভ
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফিফ-মুশফিকদের ব্যাটে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৪ রান করে নাজমুল একাদশ। শুরুতেই নাজমুল একাদশকে কাঁপিয়ে দেন পেসার রুবেল হোসেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সৌম্য সরকারকে সাজঘরে পাঠান তিনি। বাঁহাতি ওপেনারকে সরাসরি বোল্ড করেন রুবেল। ৪ বলে ৮ রানে আউট হন সৌম্য, ১৩ রানে ভাঙে নাজমুলদের ওপেনিং জুটি।
ষষ্ঠ ওভারে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রুবেল। তাঁকেও সরাসরি বোল্ড করেন। ১৪ বলে ৩ রান করেন দলটির অধিনায়ক। ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নাজমুল একাদশ।
নবম ওভারে নিজের প্রথম উইকেট পান সুমন খান। এলবির ফাঁদে ফেলে তরুণ ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনকে ফেরান (১৯) সুমন।
৩১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন আফিফ হোসেন ও মুশফিকুর রহিম। চাপ কাটিয়ে ধীরে সুস্থে দলকে এগিয়ে নেন দুজনে।
অবশ্য শুরুতেই স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন মুশফিক। মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যাচ ছেড়ে দিলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এক রানে জীবন পেয়ে আফিফের সঙ্গে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দারুণ খেলেন আফিফ। ৬৯ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। এরপর সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান তিনি। কিন্তু ৩৮.৫ ওভারে মুশফিকের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রানআউট হন তিনি। ৯৮ রানে থামে আফিফের ইনিংস। ১০৮ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়।
এর মধ্যে ৯০ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মুশফিক। তবে হাফসেঞ্চুরির পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ৯২ বলে ৫২ রানে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর শেষের দিকে ইরফানের ৩২ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ২৬৪ রান করে নাজমুল একাদশ।
মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে বল হাতে ৫৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন। ৬০ রান খরচায় এবাদত হোসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট। ৫২ রান খরচায় একটি পান সুমন খান।
সূত্র : এনটিভি
এন এইচ, ১৭ অক্টোবর