জানা-অজানা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের তিনটি ভ্যাকসিন

ব্যানকভিড-সহ বাংলাদেশের তিনটি সম্ভাব্য করোনা ভ্যাকসিনকে প্রি-ক্লিনিক্যাল ‘ক্যান্ডিডেট তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। তিনটি ভ্যাকসিনই গ্লোব বায়োটেকের।

গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ শনিবার বলেন, ‘আমাদের ব্যানকভিড-সহ মোট তিনটি ভ্যাকসিন অ্যানিমেল ট্রায়ালের পর্যায় হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। বাকি দুটির নাম এখনো আমরা ঠিক করিনি।’

এই তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার অর্থ: চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন রোগ কভিড-১৯ প্রতিরোধের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় আছেন। কোন দেশের কোন ভ্যাকসিন কোন পর্যায়ে আছে তার গ্রহণযোগ্য একটা তালিকা নিয়মিত আপডেট করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই তালিকায় থাকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিংবা গুণগত মানের কোনো নিশ্চয়তা ডব্লিউএইচও দিচ্ছে না।

গ্লোবের একটি সূত্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছে, সেই জুলাই মাসে কর্মকর্তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় ঢুকতে আবেদন করেছিলেন। সেটি কার্যকর হল এতদিন বাদে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ ভয়ঙ্কর অপরাধ, মৃত্যুদণ্ড সমাধান নয়: মিশেল ব্যাচেলে

গ্লোবের ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কয়েক দিন আগে যোগাযোগের পর মূলত তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হল। এছাড়া গ্লোব সম্প্রতি বিশ্বমানের একটি ল্যাবের সঙ্গে চুক্তি করেছে। একই সঙ্গে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি পরিচালিত বায়ো আর্কাইভ সার্ভারে তাদের অ্যানিমেল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। তালিকাভুক্তির পেছনে এই বিষয়গুলোও ভূমিকা রেখেছে।

গ্লোব বায়োটেক ইতিমধ্যে প্রাণীর শরীরে তাদের ব্যানকভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়ার দাবি করেছে। তারা চেষ্টা করছে হিউম্যান ট্রায়ালে যাওয়ার।

প্রাণীর শরীরে ট্রায়ালে দুটি ধাপ থাকে। একটি প্রিলিমিনারি, একটি রেগুলেটেড। গ্লোব দুটি ধাপই শেষ করেছে।

এম এন / ১৭ অক্টোবর

Back to top button