ইসলামের দৃষ্টিতে প্রতিভার মূল্যায়ন ও সুষ্ঠু ব্যবহার
মেধা ও প্রতিভা বিরাট এক শক্তি। মহান স ষ্টা মানুষের মধ্যেই এই সম্পদ নিহিত রেখেছেন। সব মানুষের মধ্যে মেধা ও প্রতিভার উপস্থিতি রয়েছে। তবে কেউ এটা কাজে লাগাতে পারে, আবার কেউ অযতনে-অবহেলায় তা নষ্ট করে দেয়। আল্লাহ মানুষের মধ্যে এই অমূল্য সম্পদ নিহিত রেখেছেন এটা কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে চেনার জন্য। সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য অনুধাবন করার জন্য। কোরানে বলা হয়েছে হে জ্ঞানীরা! তোমরা দুনিয়ার গতিবিধি থেকে শিক্ষা গ্রহণ কর। আর এর জন্য মেধা ও প্রতিভার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। যুগে যুগে প্রেরিত নবি-রাসুলরা আল্লাহ প্রদত্ত মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়েই যুগের সেরা মানুষ হয়েছেন। প্রতিভা আল্লাহর একটি বিশেষ ও অপূর্ব নেয়ামত। মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগানোই হচ্ছে এর সার্থকতা।
আরও পড়ুন: ইসলামের দৃষ্টিকোণে শিশুর যেসব নাম রাখা হারাম
আল্লাহর সৃষ্টির নিগূঢ় রহস্য উদঘাটন করা, তাঁর সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সম্যক অবগত হওয়া জ্ঞানীদেরই কাজ। জ্ঞানীরা যদি তাদের অমূল্য সম্পদ মেধা ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান লাভ করতে পারেন, তবে তারাই সফল। পক্ষান্তরে জ্ঞানীরা যদি এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হন, তবে এর মাশুলও তাদেরই গুনতে হবে। একজন গণ্ড-মূর্খ ও নির্বোধ লোক আল্লাহর পরিচয় লাভে ব্যর্থ হলে সে যতটুকু দায়ী হবেন তার চেয়ে শতগুণ বেশি দায়ী হবে একজন মেধাবী ও প্রতিভাধর ব্যক্তি। মেধার ও প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন না হলে আল্লাহ তা ছিনিয়ে নেন। এর দ্বারা অসদাচরণ করলে মেধা ও প্রতিভার অবক্ষয় হয়। মেধা ও প্রতিভা সব মানুষের মধ্যেই কম-বেশি আছে। এটা স ষ্টার প্রকৃতিগত দান, কারো অর্জিত নয়। এ জন্য সবার উচিত মেধা ও প্রতিভাকে প্রকৃত অর্থে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কল্যাণ ও সাফল্য অর্জন করা। মানবতার কল্যাণে, সৃষ্টির উন্নয়নে কিছু করতে পারাই প্রতিভার সঠিক মূল্যায়ন। অমূল্য এই সম্পদটুকু যেন সৃষ্টি ও মানবতার বিরুদ্ধে ব্যয় না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভালো কিছু না পারলেও অন্তত মন্দ কিছু যেন মস্তিষ্ক থেকে বের না হয়, সে প্রতিজ্ঞা করতে হবে সবাইকে। মেধার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে দেশ ও সমাজ উপকৃত হবে।
এন এইচ, ১৭ অক্টোবর