আজারবাইজানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১২
বাকু, ১৭ অক্টোবর- আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪০ জনের বেশি।
আজারবাইজানের জেনারেল প্রসিকিউটর অফিসের বরাত দিয়ে ট্রেন্ড নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে গানজা শহরের কেন্দ্রস্থলে চালানো এ হামলায় ২০টি মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হতাহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে জেনারেল প্রসিকিউটর অফিস বর্তমানে কাজ করছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আজেরি প্রেসিডেন্টের সহকারী ও পররাষ্ট্র বিভাগের প্রধান হিকমাত হাজিয়েভ বলেন, ‘গানজায় আরেক দফাসহ আজেরি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনিয়ার কাপুরুষোচিত ও নৃশংস হামলায় প্রমাণ করে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে গণহত্যার নীতি ধারণ করে। আর্মেনিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে গানজা শহরে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ জনের বেশি আজেরি বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন ২০ জনের মতো। শহরটিতে ৩ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার দখলে থাকা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলাসহ কয়েকটি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে আজারবাইজান। গত ২৭ বছর ধরে এসব এলাকা আর্মেনিয়া দখল করে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: আর্মেনিয়াকে সরিয়ে আরও ৬ গ্রামে পতাকা উড়াল আজারবাইজান
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয় দেশই সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তারা দুটি স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। প্রায় চার দশক ধরে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ চলছে।
নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলকে আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এটি এখনো আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সূত্র: দেশ রুপান্তর
আর/০৮:১৪/১৭ অক্টোবর