দিনে রেকি, রাতে গ্রিল কেটে চুরি
ঢাকা, ৩০ এপ্রিল – দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নির্দিষ্ট বাড়ি টার্গেট করতেন চোরের একটি চক্র। পরে সুযোগ বুঝে রাতের বেলায় গ্রিল কেটে তারা চুরি করতেন। চুরি করা ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন। এজন্য ব্যবহার করতেন ভুয়া নিবন্ধিত সিম। প্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আব্দুল গাফফার (দলনেতা), নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগ, রিপন, মাসুদ তালুকদার ও মাসুদ। বুধবার রাতে রাজধানীর ডেমরা ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল সেট, সাতটি ল্যাপটপ ও ১৮টি মোবাইল সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিমানবন্দর থানার উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের প্রপার্টি কানেক্ট’র অফিসে কৌশলে প্রবেশ করেন চোরের দল। সেখান থেকে একটি আইপ্যাড, আইফোন, ১২-১৪টি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা চুরি করেন তারা। এ ঘটনায় মো. ওয়ালিউল আজিম নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, চোরচক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও টঙ্গী এলাকার বাসা ও অফিসের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী চুরি করতেন। চক্রের সদস্যরা দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রথমে টার্গেট ঠিক করেন।
চোরচক্রের সদস্য রিপন পিকআপ নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করেন। আব্দুল গাফফার ও মাসুদ বাইরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতেন। গ্রিল ভেঙে বাসা বা অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতেন নজরুল ওরফে সোহাগ। চুরি করা মালামাল পিকআপযোগে গাফফারের বাসায় নিয়ে ভাগাভাগি করতেন। মাসুদ তালুকদার ল্যাপটপ ও মোবাইল অনলাইন প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতেন। বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে তিনি ভুয়া নিবন্ধিত সিম ব্যবহার করতেন বলে চক্রটি পুলিশকে জানিয়েছে।
সূত্র : আমাদের সময়
এন এইচ, ৩০ এপ্রিল