ক্রিকেট

অভিষিক্ত শরিফুলের বলে বাংলাদেশের প্রথম সাফলতা

কলম্বো, ২৯ এপ্রিল – ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছিল দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে সেঞ্চুরিয়ান করুনারত্নেকে সাজঘরে ফেরালেন অভিষিক্ত টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেটে ২০৯ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।

লাহিরু থিরিমান্নে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর খেলছেন ৮৯ রানে। আর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে শূন্যরানে অপরাজিত রয়েছেন ওসাদা ফার্নান্দো।

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দেখে-শুনে খেলতে থাকেন লঙ্কান দুই ওপেনার। মাটি কামড়ে ব্যাট করতে থাকায় উইকেটের দেখা পাচ্ছে না সফরকারীরা।

শ্রীলঙ্কার উইকেটে ফেলতে ক্ষণে ক্ষণে বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। হয়তো তার এই ফর্মূলা কাজেও লেগে যেতে পারত। ২০ ওভারের খেলায় বল হাতে আরেকবার তাসকিনকে তুলে দেন তিনি। প্রথম বলেই তার করা বলে চার হাঁকান করুনারত্নে। এরপরই ঘুরে দাঁড়ান তিনি। দুর্দান্ত বোলিংয়ে লঙ্কান দলনেতা একই ওভারে দুবার পরাস্থও করতে সক্ষম হন। কিন্তু একবার মুমিনুল এবং অন্যবার শান্ত ক্যাচ মিস করলে আর উইকেট তোলা সম্ভব হয়নি।

এরপর আর থামানো যায়নি লঙ্কান ওপেনারদের। করুনারত্নে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি তার ক্যারিয়ারের ১২তম শত রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত শরিফুল ইসলামের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন করুনারত্নে। ১৯০ বলে ১১৮ রানে আউট হন তিনি।

উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচের বাংলাদেশের একাদশ থেকে পরিবর্তন হয়েছে মাত্র একটি। আর তাতেই কপাল খুলেছে টাইগার তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তার। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন।

দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী ও শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কার সম্ভাব্য একাদশ:

দিমুথ করুনারত্নে, লাহিরু থিরিমান্নে, ওসাদা ফার্নান্দো, অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিশানকা, নিরোশান দিকভেলা, সুরাঙ্গা লাকমাল, রামেশ মেন্ডিস, বিশ্ব ফার্নানন্দো এবং প্রবীণ জয়াবিক্রমা।

সূত্র : ঢাকাটাইমস
এন এইচ, ২৯ এপ্রিল

Back to top button