‘করোনার প্রভাবে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে’
ঢাকা, ২০ এপ্রিল – মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে একরকম অচল হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। সংক্রমণ এড়াতে একদিকে যেমন দেওয়া হচ্ছে লকডাউন, তেমনি এ লকডাউনে উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে অগণিত মানুষের। তাই বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
সেই সূত্র ধরেই ভয়ঙ্কর একটি তথ্য উঠে এসেছে সম্প্রতি শেষ হওয়া একটি সমীক্ষা থেকে। করোনার প্রভাবে এবার নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক যৌথ সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন : হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের আইনের আওতায় আনার ইঙ্গিত সিআইডি’র
করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রভাব কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছরের ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই এখনও বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ওই সময় দেশে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছিল। নিম্ন আয়ের মানুষ যখন সেই ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সামাল দিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এরপরও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে জরুরি পণ্য ও সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যক্রমের বাইরে সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। এই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। এতে দৈনিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষের টিকে থাকার সংগ্রাম আরও কঠিন হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন নতুন করে।
সূত্র : ইত্তেফাক
এন এইচ, ২০ এপ্রিল