স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক
ঢাকা, ২০ এপ্রিল – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে হেফাজতের ১০ জন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় প্রবেশ করেন। রাত ১২টার দিকে তারা বেরিয়ে আসেন।
মন্ত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে আসার পর গেটের সামনে হেফাজত নেতারা নিজেরা কিছুক্ষণ কথা বলেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী জানান, তিনি অসুস্থ। তবে তিনি স্বীকার করেন যে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মামুনুল হকের ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে, তবে আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন : এবার হাতিরঝিল চাইলেন মেয়র আতিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক তাদের কাছে কিছু বলার অনুরোধ জানালেও তারা দ্রুতগতিতে গাড়িতে উঠে চলে যান। এ সময় মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি হাত নাড়িয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
রাত ১০টার দিকে যখন হেফাজতের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ঢোকেন তখন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান জানান, রাত ১০ টায় ১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। রাত ১২টার দিকে বের হয়ে যান। তিনি জানান, ‘আমরা গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি করেছি। সরকার আমাদের ভুল বুঝেছে- সেটা বলার চেষ্টা করেছি। ২৬ মার্চ হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কারা সেদিন মিছিল ও ভাঙচুর করেছে সেটা তদন্তের দাবি করেছি।’
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা পরে জানানো হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী, মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।
এর আগে সোমবার দুপুরে একদল সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা। হেফাজতের একজন নেতা জানান, বৈঠকের ধারাবাহিকতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠকটি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজত ইসলামের শীর্ষ নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হেফাজতের নেতারা চাইছেন, আর কোনো নেতাকর্মীকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
এন এ/ ২০ এপ্রিল