উত্তর আমেরিকা

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা অভিযুক্ত

ওয়াশিংটন, ১৫ এপ্রিল – যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ডন্টি রাইট (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা কিম পটারকে (৪৮) অভিযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে অঙ্গরাজ্যটির ব্রুকলিন সেন্টার শহরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ ওই যুবক নিহত হন।

কিম পটারের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মাত্রার বা ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। খবর বিবিসির

স্থানীয় সময় বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিম পটারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে জামিন দেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার জুমের মাধ্যমে তিনি প্রথম এই মামলায় আদালতে হাজিরা দেবেন।

আরও পড়ুন : আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাবে ন্যাটোও

ঘটনার পর ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাফিক আইন অমান্য করার পর ডন্টি রাইটকে থামাতে গেলে বিপত্তি বাধে। তার সঙ্গে পুলিশের তর্ক হয়। একপর্যায়ে ডন্টি রাইট ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তা বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে অজ্ঞান করার যন্ত্র বা ট্যাজার দিয়ে তাকে থামাতে উদ্যত হন।

ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের প্রধান টিম গ্যানন জানিয়েছিলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা তার কোমরে থাকা ট্যাজার ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ভুলক্রমে পিস্তল ব্যবহার করে ফেলেন। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ডন্টি রাইট। এ ঘটনাকে নিছক ‘দুর্ঘটনা’ বলেছিলেন টিম গ্যানোন।

এ ঘটনার দুদিনের মাথায় ব্রুকলিন সেন্টার পুলিশের প্রধান টিম গ্যানোন ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কিম পটার পদত্যাগ করেন।

তবে ঘটনার দ্রুত তদন্ত শেষে বলা হয়, ডন্টি রাইটের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়। কিম পটার ট্যাজারের পরিবর্তে ভুলক্রমে যে হ্যান্ডগান ব্যবহার করে ফেলেছেন, সে বিষয়ে তার ব্যাখ্যা তদন্তকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি।

এদিকে এ ঘটনায় ব্রুকলিন সেন্টারসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কিম পটারকে গ্রেপ্তার ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও ব্রুকলিন সেন্টার শহরে বিক্ষোভ থামেনি। টানা চতুর্থদিনের মতো ব্রুকলিন সেন্টার শহরে বিক্ষোভ হয়।

শহর কর্তৃপক্ষ বারবার বিক্ষোভকারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। সন্ধ্যার পর শহরে কারফিউ বলবৎ রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ১৫ এপ্রিল

Back to top button