ফুটবল

দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের কাছে হেরেও সেমিফাইনালে পিএসজি

বায়ার্ন হয়তো ম্যাচের পর পরিতাপ করতেই পারে। কেন যে জয়ের ব্যবধান ২-০ হলো না! তাহলেই যে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলিগের সেমিফাইনালের টিকিট মিলতে পারতো। কিন্তু পিএসজি তা হতে দেয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লীগে মঙ্গলবার রাতে বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারেনি পচেত্তোনিওর দল। কিন্তু ম্যাচ হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। এতেদুই লেগ মিলিয়ে দুই দলের গোল ব্যবধান ৩-৩ থেকেছে। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে বেশি গোল দেওয়ার ‍সুবাদে পিএসজি জায়গাকরে নিয়েছে সেমিফাইনালে।

অন্যদিকে সেভিয়ার মাঠে চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে এফসি পোর্তো। কিন্তু আগের লেগে ২-০ গোলে ম্যাচ জেতায়এগিয়ে চেলসিই। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চেলসি সাত বছর পর শেষ চার এ উঠেছে।

আগে থেকে ব্যাকফুটে ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। নিজেদের মাঠে পিএসজির কাছে ৩-২ গোলে হেরেছিল।এবার অবশ্য ম্যাচ জিততেই চলতো না। ব্যবধান থাকতে হতো নুন্যতম ২-০ গোলে। কিন্তু বায়ার্ন সেটা পারলো কই। গতবারট্রফি জেতা দলটি কিনা এবার শেষ চার এর আগেই বিদায় নিলো।

আরও পড়ুন : সার্জিও রামোস করোনা পজিটিভ

৪-২-৩-১ ফর্মেশন খেলেছে পিএসজি। একই ফর্মেশনে খেলেছে বায়ার্নও।রিয়াল মাদ্রিদের পর দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শততম ম্যাচ খেলবে বায়ার্ন। তবে ম্যাচটি জিতলেও যে পরের পর্বে যেতে পারলো না হান্সি ফ্লিকের দল।১০ বছরে দ্বিতীয়বার এমনটি হলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে বায়ার্নকে। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ মৌসুমেকোয়ার্টার ফাইনাল থেকে শেষ চারে যেতে পারেনি বায়ার্ন।

বায়ার্নের মূল অস্ত্র রবের্ত লেভানদোভস্কি চোটের কারণে ছিল না। তার জায়গায় খেলছেন ক্যামেরুনের বংশোদ্ভুত জার্মানফরোয়ার্ড চোওপো মোটিং। ম্যাচের একমাত্র গোলটি এসেছে তার হেড থেকেই।

প্যারিসের এই মাঠে দর্শকদের ঢোকার অনুমতি ছিল না। তবে মাঠের বাইরে খেলার শুরুতে আতশবাজির ফোয়ারা দেখাগেছে। এমন আতশবাজির মাঝে প্রথমার্ধে দুইদল প্রায় সমানে সমান লড়াই করার চেষ্টা করেছে। আক্রমণও কম হয়নি।পিএসজির দুর্ভাগ্য নেইমারের দুটি প্রচেষ্টাতে গোলবার বাধা হয়ে না দাড়ালে হয়তো ব্যবধান অন্যরকম হতে পারতো।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য বায়ার্ন প্রেসিং করে খেলতে থাকে। আক্রমণও শানিয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি।২৪ মিনিটেমুলারের শট এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। পরের মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সানের বাঁ পায়ের শট বক্সেরক্রস বারের পাশদিয়ে যায়।

পিএসজির খেলোয়াড়রা বল পায়ে পেলেই ভয়ংকর হয়ে উঠার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে নেইমার-এমবাপ্পেরা। ২৭ থেকে ৩৯মিনিটের মধ্যে তাদের চারটি গোলের প্রচেষ্টা ছিল দেখার মতো।

২৭ মিনিটে এমবাপ্পের কাটব্যাক থেকে নেইমারের সামনে তখন গোলকিপার ‍নয়্যার। সোজাসোজি তার গায়ে মেরে সুযোগনষ্ট করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

৩৪ মিনিটে নেইমারের প্রচেষ্টা থেকে গোল হয়নি। ৩৭ মিনিটে বক্সে ঢুকে নেইমারের শট নিলেও তা ক্রস বারে লেগে ফিরেআসলে হতাশা বাড়ে। আর দুই মিনিট পর নেইমারের আরও একটি শট পোস্টের নিচে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়াহয়নি।

বায়ার্ন সুযোগ পেয়েই আক্রমণে উঠেছে। ৪০ মিনিটে গোলও পেয়েছে।আলবার শট গোলকিপার ফিরিয়ে দিলে ক্যামেরুনেরবংশোদ্ভুত ফরোয়ার্ড এরিক ম্যাক্সিম চোওপো মোটিং হেডে লক্ষ্যভেদ করেন।

৪৩ মিনিটে আলবার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে বায়ার্নকে ব্যবধান বাড়াতেদেননি।

বিরতির পর দুই দলই চেষ্টা করেছে। পাল্টাপাল্টি আক্রমণে খেলা জমে উঠে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোনও দলই। ৫৩মিনিটে দি মারিয়ার পাসে ফাঁকায় নেইমার পা ছোঁয়াতে পারেননি। আর ৭৮ মিনিটে এমবাপ্পের গোল অফসাইডের কারণেবাতিল হয়। মুলার-মোটিংরাও লক্ষ্যভেদ করার জন্য প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগে গেলেও গোল হয়নি। মুলারের একটি শটতো গোলকিপারের শরীরে লেগে প্রতিহত হয়।

এই মৌসুমে তাই আর ট্রফি আর ধরে রাখতে পারলো না জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ১৪ এপ্রিল

Back to top button