বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা দুই ধাপে, আবেদন শুরু ১৫ এপ্রিল
ঢাকা, ১১ এপ্রিল – বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে শুরু হচ্ছে। অনলাইনে ২৪ এপ্রিল বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। এবার দুই ধাপে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বুয়েট। যেটির প্রথম ধাপ হবে ৩১ মে ও ১ জুন। ৫ জুন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে বুয়েট। আগামী ১০ জুন মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে জেএসসি ও এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে
এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করায় ভর্তির পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কওমিসহ সব মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ক’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ) আবেদন, প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন বাবদ এক হাজার এবং ‘খ’ গ্রুপে (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পন বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগে) ১ হাজার ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
দুটি গ্রুপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে চার শিফটে আগামী ৩১ মে ও ১ জুন ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে প্রাক?-নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে সেখানে কোনো পাস নম্বর থাকবে না। পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে মূল পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘পরিসংখ্যানভিত্তিক পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি শিফটে প্রার্থীদের মেধার বিন্যাসের সমতুল্যতা নিশ্চিত করা হবে। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের মেধাক্রম অনুসারে প্রথম থেকে ৬০০০তম (প্রতি শিফটের ১ম থেকে ১৫০০ তম) শিক্ষার্থীকে মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হবে।’
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর মূল পরীক্ষায় মডিউল ‘এ’ তে ‘ক’ গ্রুপ ও ‘খ’ গ্রুপে গণিত, পদার্থ, রসায়নের ওপর ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। তবে ‘খ’ গ্রুপে আবেদনকারী মডিউল ‘বি’ তে মুক্তহস্ত অঙ্কন, দৃষ্টিগত ও স্থানিক ধীশক্তি পরীক্ষা দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশের যেকোনো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগে (গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ) জিপিএ ৪.০০ পেয়ে পাস করতে হবে। বিদেশি শিক্ষা বোর্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে।
তবে উচ্চ মাধ্যমিক, আলিম বা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে রেজিস্ট্রেশনসহ গ্রেড পদ্ধতিতে জিপিএ ৫.০০ এবং মাধ্যমিক, দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিনটি বিষয়ে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ২৭০ নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। বিদেশি শিক্ষা বাের্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে।
অপরদিকে ইংরেজি মাধ্যমে ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পাস করা প্রার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় (গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজিসহ) এর প্রতিটিতে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন এই তিন বিষয়ের বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে ‘এ’ গ্রেড পেয়ে পাস করতে হবে।
এ ছাড়া ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত সব সঠিক আবেদনকারীকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ
এন এইচ, ১১ এপ্রিল