পশ্চিমবঙ্গে ভোটকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ৪
কলকাতা, ১০ এপ্রিল – পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে রাজ্য বিধানসভার চতুর্থ দফার নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
এসময় আরো চারজন আহত হয়েছেন। তৃণমূলের দাবি, নিহতদের সবাই তাদের সমর্থক।
শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে।
সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় শীতলকুচিতে সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। সকালে পাঠানটুলি শালবাড়ির ২৮৫ বুথে ভোট দিতে গিয়ে আনন্দ বর্মণ নামের এক ১৮ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন নিজেদের বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করে। অন্যদিকে, আনন্দ তাদের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন : ‘গুলি করে মেরে এখন আত্মরক্ষা বলছে বাহিনী’, শীতলকুচি-কাণ্ডে অমিতের ইস্তফা চাইছেন মমতা
এ ঘটনায় রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, সিআরপিএফ নয়, গুলি চালিয়েছে সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স)।
স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলে দলে মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিনা প্ররোচনায় গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
বুথের ভেতরে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক এ ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যেভাবে লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন মমতা, তার জন্য মানুষ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করে। তাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে সিআইএসএফ।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে রাজ্যের পাঁচ জেলার ৪৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার নয় এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে নয়টি এবং হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনে ভোট হচ্ছে।
এর আগে প্রথম দফায় গত ২৭ মার্চ ৩০টি, দ্বিতীয় দফায় ১ এপ্রিল ৩০টি এবং তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল ৩১টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে।
এন এইচ, ১০ এপ্রিল