জাতীয়

করোনার নমুনা দেয়ার টিকিটও যেন সোনার হরিণ!

ঢাকা, ০৭ এপ্রিল – দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছেই। গত নয়দিনে ৬ বার ভেঙেছে শনাক্তের রেকর্ড। প্রতিদিন নমুনা দেয়া জন্য হাসপাতালের সামনে লেগে লাগে দীর্ঘ লাইন। তারউপর লকডাউনে এই ভোগান্তি যেনো চরমে পৌঁছেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না করোনার নমুনা দেয়ার টিকিট। এ যেনো অনেকটা সোনার হরিণ!

মিজান তালুকদারের বয়স ৫৫ বছর। পেশায় গাড়িচালক। পরিবার নিয়ে থাকেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। তিন দিন ধরে গায়ে সামান্য জ্বর আছে। জ্বরের সাধারণ ওষুধপত্র খেয়েছেন, কিন্তু জ্বর কমেনি। তাই তিনি করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় অটোরিকশায় করে মুগদা হাসপাতালের ফটকে চলে আসেন। দাঁড়িয়ে যান টিকিট পাওয়ার লাইনে। কিন্তু দুপুর ১২টার পরও তিনি টিকিট হাতে পাননি। পরে জানতে পারেন, আজ আর টিকিট দেয়া হবে না। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মিজান তালুকদার।

আরও পড়ুন : ১০ দিনের মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা দ্বিগুণ হচ্ছে

একা মিজান নন, তার মতো আরও ৪০–৫০ জন মুগদা হাসপাতালে টানা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও একটি টিকিট জোগাড় করতে পারেননি। অথচ তারা সবাই ন্যূনতম শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

তাদের একটাই কথা, লকডাউনে যেখানে গাড়ি পাওয়া দুষ্কর, সেখানে তারা বেশি ভাড়া দিয়ে শুধু করোনার নমুনা দেয়ার জন্য সকাল নয়টায় এসে হাজির হয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। এটা রীতিমতো হয়রানি।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুগদা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, সত্যিই দুঃখজনক। করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নমুনা দেয়ার লোকের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। আমরা প্রতিদিন মাত্র ২৮২টি নমুনা সংগ্রহ করে থাকি। প্রতিদিনই কিছু লোক ফিরে যান। তবে পরের দিন তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নমুনা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। এই হয়রানি বন্ধের জন্য কাল থেকে নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। যারা নমুনা দেবেন, তারা হাসপাতালের টেলিমেডিসিন সেবায় ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেবেন। তাদের নামের তালিকা করা হবে। কখন, কবে নমুনা দেবেন, সেটা মুঠোফোনে জানিয়ে দেয়া হবে।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৭ এপ্রিল

Back to top button