দক্ষিণ এশিয়া

ভারত থেকে চিনি-তুলা আমদানি করবে পাকিস্তান

ইসলামাবাদ, ০১ এপ্রিল – গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থবির হয়েছে। তবে সেই সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে ভারত থেকে চিনি ও তুলা আমদানি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানী সরকার। দেশটির নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহার এক ঘোষণায় এ কথা বলেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এর আগে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হাফিজ শেখকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটিতে ব্যাপকভাবে মুদ্রাস্ফীতির ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে অভিযোগ এনে তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ইমরান খান পাকিস্তানের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লড়াই চালাচ্ছেন। তার অংশ হিসেবেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন : সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী করোনায় আক্রান্ত

হাম্মাদ আজহার জানান, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমন্বয় কমিটি (ইসিসি) বেসরকারিভাবে ভারত থেকে পাঁচ লাখ টন চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে চিনির দামে ব্যাপক ফারাক থাকায় আমদানি আবারও শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানি অর্থমন্ত্রী। তার ভাষ্যমতে, পাকিস্তানের চেয়ে ভারতে চিনির দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম।

তিনি আরও জানান, আমরা চিনি আমদানির অনুমতি দিয়েছি, তবে বাকি বিশ্বেও দাম চড়া হওয়ায় সেটি সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে দাম তুলনামূলক কম। একারণে সেখান থেকে বেসরকারিভাবে পাঁচ লাখ টন চিনি আবারও আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পোশাক রফতানি বাড়ায় তুলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু গত বছর এর উৎপাদন ভালো হয়নি।

ভারতশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের জেরে ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের ফের অবনতি হয়। সেসময় ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য, রেল ও বিমান চলাচলও বন্ধ করে দেয় তারা।

তবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের মে মাসে ভারত থেকে ওষুধ ও কাঁচামাল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইমরান খানের সরকার। এতদিন ভারত বাদে বাকি সব দেশ থেকে তুলা, সুতা ও চিনি আমদানির অনুমতি ছিল পাকিস্তানে।

সূত্র : ইত্তেফাক
এন এইচ, ০১ এপ্রিল

Back to top button