পাকিস্তানি সাময়িকীর প্রচ্ছদে শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
ঢাকা, ৩১ মার্চ – পাকিস্তানের করাচি থেকে প্রকাশিত হয় সাউথ এশিয়া নামের পত্রিকাটির মার্চ সংখ্যার প্রচ্ছদে স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাময়িকীটির মার্চ সংখ্যাটি সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে। এখানে সাতটি নিবন্ধ স্থান পেয়েছে ।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিলো খাদ্য শস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। বিগত ৫০ বছরে এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর কালে যেখানে বাংলাদেশের খাদ্য শস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল মাত্র এক কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা চার কোটি ৫৩ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে দেশে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেন। তার সময়ে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে তার স্বপ্ন ও আদর্শের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : আজ থেকে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী
এখন বাংলাদেশে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু রয়েছে। স্বাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক সাত শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি বিস্ময়কর।
চূড়ান্তভাবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য জোরদারে সাহায্য করেছে। সেটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় সমালোচিত হয়েছেন, তবে দেশটির ঊর্ধ্বমুখী বাঁকবদলে তিনি একটি আবশ্যকীয় অবদান রেখেছেন। যদিও বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়, মৌলবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক এটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
প্রবন্ধে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বলা হয়, তিনি যেভাবে হাল ধরেছেন তাতে আগামী এক দশকে বিশ্বকে বাংলাদেশ এ বার্তা দিতে পারে, শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছু আছে বাংলাদেশ থেকে।
ইংরেজি ভাষায় লেখা এই প্রবন্ধগুলোর প্রথমটি লিখেছেন ড. ফরিদা খান। তিনি কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক। তিনি তার প্রবন্ধের নাম দিয়েছেন ‘টেকিং স্টক’। এর পরের প্রবন্ধেটির নাম ‘লাইফ বিগিনস অ্যাট ৫০’। এটি লিখেছেন পাকিস্তানের সাবেক সিনেটর জাভেদ জব্বার। তিনি একজন লেখক, প্রাক্তন সিনেটর এবং ফেডারেল মন্ত্রী।
তৃতীয় প্রবন্ধটি লিখেছেন ডা. আহরার আহমদ। তার প্রবন্ধের নাম ‘প্লিজেন্ট সারপ্রাইজ’। চতুর্থ প্রবন্ধটির নাম ‘ফাস্ট ট্র্যাক’। এটি লিখেছেন মাজেদ আজিজ। পঞ্চমটি লিখেছেন, ডানকান বার্টলেট। নাম দিয়েছেন ‘ম্যালাইস টুওয়ার্ডস নান?’
ষষ্ঠ প্রবন্ধটির নাম ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকল’। লিখেছেন, বিরুপাক্ষ পাল। সপ্তমটি লিখেছেন আসিফ জাবেদ। নাম দিয়েছেন, ‘ইকোনমিক সলিউশন’।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিমাসে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এই সাময়িকীটি। প্রথমে এটির নাম ছিল থার্ড ওয়ার্ল্ড। এরপর ১৯৯৭ সালে নাম বদল করে রাখা হয় সাউথ এশিয়া।
মার্চ সংখ্যাটি পড়তে ক্লিক করুন…
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ৩১ মার্চ