নিজের বয়সের সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পূর্ণিমা
ঢাকা, ২৬ মার্চ – চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সিনেমাতে কেন্দ্রীয় নায়িকার চরিত্রে দর্শক মাত করেছেন। ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে খ্যাত পূর্ণিমার সেসবই কাজ আজ অতীত। পূর্ণিমা ঢালিউড নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকে তার সৌন্দর্য অপরিবর্তনীয়। এখন বড়পর্দায় নিয়মিত না হলেও, টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোয়ে উপস্থাপনা কিংবা বিচারক হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। পূর্ণিমার চিরন্তন সৌন্দর্য নিয়ে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কী রহস্য পূর্ণিমার সৌন্দর্য্যে? দিনে দিনে আরও সুন্দরী হচ্ছেন কিভাবে?
পূর্ণিমার এই সৌন্দর্যের রহস্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি পূর্ণিমার বয়স নিয়েও আন্দাজ লাগাতে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিভিন্ন ফটোশপ দিয়ে তাকে বুড়ি হলে কেমন দেখাবে সেই ছবিও পোস্ট করতে দেখা যায় অনেককে। তবে ভক্তদের এই বিষয়টি মোটেও পছন্দ করেন না অভিনেত্রী। রীতিমতো মনঃক্ষুণ্ণ তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারটা কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, এই দীর্ঘ জার্নিটা নিয়ে বলতে গেলে দুই এক লাইনে শেষ হবে না। তবে একটা ঝামেলা হয়েছে, এই দীর্ঘ সময়ে অনেক মানুষ আমাকে অনেক রকম ধারণা করে। একে তো আমার বয়স নিয়ে। আমি এতোদিন কাজ করেছি আমার কী তাহলে ৪০, ৫০ বছর বয়স। এছাড়াও ফেসবুকে লাইভে এলে বাজে কমেন্ট করা শুরু করে।
আরও পড়ুন : মন ভেঙে গেছে দীঘির
পূর্ণিমার আরো বলেন, আমি কবে বুড়ি হবো, কবে আমার বয়স হবে। আমাকে মনে হয় বুড়ি দেখার জন্যেই সবাই মুখিয়ে থাকে। অভিনেত্রী বলেন, আমি বুড়ি হলে তো তোমরা ক্রাশ লিখতে পারবা না। মানুষ বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবেই। তোমাদেরও মা আছে, বোন আছে সবাই বয়সের সঙ্গে বুড়ি হবে। এতো অস্থির কেন আমাকে বুড়ি দেখানোর জন্য। দর্শকদের উদ্দেশ্যে পূর্ণিমা বলেন, তোমরা এপ্যারিসিয়েশন করো আমি এখনো পর্যন্ত আছি, ভালো কাজ করছি এবং তোমাদের ভালো ভালো কাজ দিতে পারছি। কে বুড়ি হলো, কার বয়স কতো এই বদনাম গুলো করো না।
ক্যারিয়ারের ভালো দিক হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি এখনো পর্যন্ত সুন্দরভাবে সম্মান নিয়ে কাজ করছি। সিনেমা এবং টেলিভিশনে একসঙ্গে কাজ করে গেছি, যেটা অনেকেই পারে না। এখন সিনেমায় না থাকলেও আমি মানুষের মনে, টেলিভিশনে আছি। মানুষ পছন্দ করছে, ভালোবাসছে এটাই।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু করেন পূর্ণিমা। এর আগে স্বপন চৌধুরী পরিচালিত ‘শত্রু ঘায়েল’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। তবে প্রযোজক মতিউর রহমান পানুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে এলেও প্রথম ছবিতে সাফল্য পাননি পূর্ণিমা।
এন এইচ, ২৬ মার্চ