জাতীয়

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি কর্মসূচি প্রত্যাহার রহস্যজনক : কাদের

ঢাকা, ২৫ মার্চ – করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করাকে ‘রহস্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ইতিহাসের অনেক মিমাংসিত বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে জেনেই বিএনপি ২৫ ও ২৬ মার্চ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল, তা করোনার অজুহাত দেখিয়ে প্রত্যাহার করে নেয়া রহস্যজনক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরাপরাধ বাঙালিদের নির্বিচারে হত্যা করে। ইতিহাসে এটি গণহত্যা দিবস হিসেবে চিহ্নিত। তাই দিনটিকে আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। জাতীয় সংসদ এলাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগদেন তিনি।

আরও পড়ুন : ‘গুলিবিদ্ধ’ জানিয়ে স্ট্যাটাস, লাইভে এসে নুর বললেন, ‘সুস্থ আছি’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৫ মার্চ সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত। নারী, পুরুষকে নির্বিবচার হত্যা করেছে কিন্তু এখনো এই হত্যাকে গণহত্যা হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃতি পায়নি। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে এবার স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকিস্তান তাদের ভুল স্বীকার করেনি। এই দিনে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙালিদের হত্যা করে রক্তের স্রোত বইয়ে দিয়েছে সেই ইতিহাস দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

তিনি বলেন,২৫ মার্চ কালরাতের ঘটনায় এদেশে যারা জড়িত ছিলো তাদের হাতে খালেদা জিয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। বিএনপি তাদের আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছে। রাতের গভীরে বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশের মানুষকে হত্যা করে বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছে, পাকিস্তান এ জন্য এখনো ক্ষমা চায়নি এবং ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দেয়নি। যখন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী পালন করা হচ্ছে এসময় ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিরোধ করতে দেশবাসীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। এই হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে সেই সমস্ত অপরাধীদের বিচারেরর কাঠগড়ায় নিয়ে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। বাংলাদেশে রাজাকারদের বিচার হয়েছে এবং এখনও চলমান। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনীদের যারা সহযোগিতা করেছে, সেই সমস্ত দোসরদের শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমরা ২৫ মার্চের গণহত্যার ইতিহাস বিশ্ববাসীকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।

সূত্র : দেশরুপান্তর
এন এইচ, ২৫ মার্চ

Back to top button