গবেষণা

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ৭৯% কার্যকর

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি কভিড প্রতিরোধে ৭৯ শতাংশ কার্যকর। আর গুরুতর অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি ঠেকাতে এটি শতভাগ কার্যকর। টিকাটি নিরাপদ এবং এটি প্রয়োগে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে টিকাটির তৃতীয় পর্যায়ে (চূড়ান্ত পর্যায়ে) পরীক্ষা শেষে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। টিকাটি নিয়ে সাম্প্রতিক উদ্বেগের মধ্যে এ সুখবর এলো। খবর বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বড় বিতর্ক শুরু হয় চলতি মাসের প্রথম দিকে। এ টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির ভয়ে বেশকিছু দেশ ওই টিকাদান স্থগিত রাখে। তবে টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে গত সপ্তাহে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। টিকাটি নিরাপদ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

আরও পড়ুন : ‘টিকা নিয়ে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হবে না’

বর্তমানে বিশ্বের ৭০টির মতো দেশে টিকাটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এখনও এ টিকার অনুমোদন মেলেনি। দেশটিতে এ টিকার মানবদেহে পরীক্ষার ইতিবাচক ফল অনুমোদনের পথ সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে। টিকাটি যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেলে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।

এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকার তৃতীয় পর্যায়ের মানবদেহে পরীক্ষায় ৩২ হাজার ৪৪৯ জন অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি এবং প্রায় ৬০ শতাংশের স্বাস্থ্যগত অবস্থা কভিড-১৯-এর জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তারা ডায়াবেটিস, অত্যধিক স্থূলতা, হৃদজনিত রোগে আক্রান্ত। টিকাটি সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের উপসর্গ মোকাবিলায় ৭৯ শতাংশ কার্যকর।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারের সঙ্গে যৌথভাবে ওই পরীক্ষা চালায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারের মেডিসিনের অধ্যাপক ও টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার উপপ্রধান অ্যান ফ্যালসি বলেছেন, আগের পরীক্ষাগুলো ফলাফলকেই সমর্থন করছে এ পরীক্ষা। ৬৫-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগে দারুণ ফল পাওয়া গেছে, যা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ফলে অতি প্রয়োজনীয় হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এই পরীক্ষা। একই সঙ্গে এটা আশ্বস্ত করছে যে, ভাইরাস থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ককে সুরক্ষা দিতে পারে টিকাটি।

সূত্র : সমকাল
এন এইচ, ২২ মার্চ

Back to top button