জাতীয়

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে চায় মিজোরাম: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ মার্চ – মিজোরাম সরকার বাংলাদেশের চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানা ’র সাথে সাক্ষাতের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র এবং মিজোরাম আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। মিজোরামের সাথে সরাসরি ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। সড়ক ও নৌ পথে এ ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। মিজোরামে বাংলাদেশি পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যোগাযোগের সুযোগ কম থাকায় বাণিজ্য বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে মিজোরাম সরকার চাচ্ছে । বাংলাদেশ ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : একটি রাষ্ট্র বাংলাদেশে সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করছে : পলক

সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, চলমান বর্ডারহাটগুলোতে বড় ধরনের বাণিজ্য না হলেও উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডারহাট উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক. টয়লেট্রিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একই ভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা, চিনি এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয়দিক বিবেচনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী বলেন, মিজোরাম বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানিয়েছি। মিজোরাম ভারতের মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। মিজোরাম বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য। আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। এজন্য বাংলাদেশ মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন ও সড়ক সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে উভয় দেশের মানুষের যাতায়াত সহজ হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। বাঁশ, পাথর সেগুনকাঠসহ বিভিন্ন পণ্য বাংলাদেশে রফতানি হতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি উভয় দেশের বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে।

মিজোরামের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সফররত মন্ত্রীর স্ত্রীসহ তিনজন প্রতিনিধি। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান এবং যুগ্মসচিব (এফটিএ) নুর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বার্তা২৪
এন এইচ, ২১ মার্চ

Back to top button