কুষ্টিয়া

এক ভোটের দাম ১ হাজার টাকা

কুষ্টিয়া, ১৯ মার্চ – কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অভিভাবক ভোট ১ হাজার টাকায় কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি মোটরসাইকেল শোডাউনসহ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী চেয়ার প্রতীকের কাবিল হাসান জানান, শনিবার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এই প্রথম বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন হচ্ছে। বর্তমানে শরিফুল ইসলাম যিনি সভাপতি রয়েছেন তার দাদা স্কুলের জমিদাতা হওয়ায় গ্রামের মানুষ সর্বসম্মতিক্রমে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনাভোটে সভাপতি নির্বাচিত করতেন।

কিন্তু এবার প্রতিপক্ষ থাকায় নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল শোডাউন, অভিভাবকদের বাড়ির পাশে গিয়ে উচ্চস্বরে হর্ণ বাজানো এবং তাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া তাদের প্রতিপক্ষের জাফর খান ও তৌহিদ খান উত্তর চাঁদপুর হলদারপাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১১টি পরিবারে শম্ভুচরণ হলদার ও রঞ্জন কুমারকে দিয়ে ১ হাজার টাকা ও তাদের প্যানেলের হ্যান্ডবিল দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন : নতুন হেয়ারকাটে ক্যাট, জানুন আরও কিছু

হলদারপাড়ার ১১টি পরিবারের মধ্যে রমেন কুমার ও বিষ্ণু কুমারের স্ত্রী ১ হাজার টাকা ও হ্যান্ডবিল দেখিয়ে বলেন ১ সপ্তাহ আগে রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করেই রঞ্জন ও শম্ভুচরণ এসে টাকা দেন এবং ভোট দিতে বলেন। তারা টাকা খরচ না করে ওভাবেই রেখে দিয়েছেন এবং ফেরত দিতে গেলেও তারা নেননি।

এ বিষয়ে শম্ভুচরণ হলদার অভিভাবকদের টাকা দেওয়ার বিষয়ে জানান, রঞ্জন টাকা দিয়েছে তিনি সঙ্গে ছিলেন।

এ বিষয়ে রঞ্জন জানান, জাফর খান ও তৌহিদ খান তার কাছে টাকা দিয়েছেন। তিনি ১১টি বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্যানেলের অভিভাবক সদস্য পদপ্রার্থী ছাতা মার্কা প্রতীকের আব্দুস সবুর খান ও পাখা মার্কা প্রতীকের রহিমা খাতুন ডালিয়া বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। প্রতিপক্ষ তাদের ভোটারদেরও টাকা দেয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু তারা নেয়নি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জালাল উদ্দীন বলেন, আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। এলাকায় সরেজমিন গিয়ে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র : যুগান্তর
অভি/ ১৯ মার্চ

Back to top button