গাজীপুর, ১৪ অক্টোবর- ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের এক মাস পর মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে বোয়ালমারী থানা-পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী ইব্রাহিমকেও আটক করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের টুংরাইল গ্রামে। অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম ইব্রাহিম শেখ সে একই ইউনিয়নের সুতালিয়া গ্রামের রতন শেখের ছেলে।
বোয়ালমারী থানা সূত্রে জানা গেছে, অপহৃত ছাত্রী বোয়ালমারী কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। কলেজে আসা যাওয়ার পথে ইব্রাহিম প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। গত ৮ সেপ্টেম্বর সহস্রাইল বাজারে কেনাকাটা করতে গেলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ইব্রাহিম তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে ইব্রাহিম। অপহরণকারী ইব্রাহিম ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করত সে।
মেয়েটির পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপহৃতার মা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে বোয়ালমারী থানার উপপুলিশ পরিদর্শক আশুতোষ ভৌমিক, মো. সাইফুদ্দিন আহমেদ ও দীপংকর সান্যালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার দত্তপাড়া এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং ইব্রাহিম শেখকে আটক করে।
মামলার বাদী এবং মেয়েটির মা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী ও অসহায়। আমার নাবালিকা মেয়েকে আটকে রেখে দিনের পর দিন নির্যাতন করেছে। আমি ওই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাব
গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিমকে বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ২টায় ফরিদপুরের আমলি আদালতে হাজির করলে বিচারক নাজমুস সাহাদাত অভিযুক্তর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘অপহরণের প্রধান আসামি ইব্রাহীমকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে অপহরণের পাশাপাশি ধর্ষণের মামলা সংযুক্ত হতে পারে।’
সূত্র: সময়টিভি
আর/০৮:১৪/১৪ অক্টোবর