ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় আত্মহত্যা করল খুনের আসামি
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর- ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় রাজিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুনের থানার হেফাজতখানায় মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দাবি করছে, আসামি আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানার হেফাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, গত সোমবার রাতে শ্রীনগর থানা থেকে সন্দেহভাজন রাজিয়া বেগম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে নবাবগঞ্জ থানায় নেওয়া হয় মামুনকে।
পরে সোমবার রাতেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামুন হত্যার দায় স্বীকার করে নেন। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মামুনকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আ. জলিল। কিন্তু হেফাজতখানায় গিয়ে থানার প্রহরী ও আ. জলিল দেখতে পান মামুন টয়লেটের গ্রিলের সঙ্গে পরনের লুঙ্গী পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আ. জলিল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জানালে দোহার থানার সার্কেল এসপি জহিরুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম সালাউদ্দিন মনজু ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ নামানো হয়। পরে সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: যুবলীগকর্মীদের পেটালো বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা
এ ঘটনায় থানা হাজতে থাকা সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩ মিনিটে হেফাজতখানার শৌচাগারের গ্রিলের সঙ্গে নিজের পরনের লুঙ্গী পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন মামুন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের দেওতলা খ্রিষ্টানপাড়া এলাকার একটি ডোবার পাড় ও বাঁশঝাড় থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত সোমবার রাজীয়া বেগমের পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার প্রবাসী ইয়াকুব ঢালীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে স্থানীয় জনগণ একই এলাকার মামুনকে গণধোলাই দিয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। যেহেতু হত্যা মামলা নবাবগঞ্জ থানায় হয়েছে, ফলে শ্রীনগর থানা পুলিশ আসামিকে নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
সূত্র: আমাদের সময়
আর/০৮:১৪/১৩ অক্টোবর