পটুয়াখালীতে শাশুড়ির পেনশনের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম
পটুয়াখালী, ১৪ অক্টোবর- পটুয়াখালীতে যৌতুক হিসেবে শাশুড়ির পেনশনের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম জুয়েল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মেহেরিন সুলতানা দুলারীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহত দুলারীর মা সাবেক স্কুল শিক্ষিকা জেবুন নাহার বাদী হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, দুলারীর সঙ্গে ২০০৩ সালে চরপাড়া এলাকা নিবাসী মো. সুলতান মৃধার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম জুয়েলের বিয়ে হয়। এরপর দুলারীর পরিবারের পক্ষ থেকে জুয়েলকে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই দুলারী শহরের লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাদী মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে গেলে তার পেনশনের টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন জামাই জুয়েল। জমি কেনার কথা বলে জুয়েল তখন থেকেই নানা রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এরপর প্রায়ই দুলারীকে যৌতুকের ওই টাকা আদায়ের জন্য মারধর করতেন তিনি। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয়েও রেহাই দেয়নি সরকার’
গত মঙ্গলবার রাতে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি জানান জুয়েল। তখন ওই পরিমাণ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে জুয়েল লোহার রড দিয়ে দুলারীকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন। এক পর্যায়ে দুলারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার উপর আঘাত করলে দুলারী রক্তাক্ত জখম হন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ বলেন, ‘মামলা রুজুর পর আসামিকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’
সূত্র: আমাদের সময়
আর/০৮:১৪/১৩ অক্টোবর