ভারতের থেকে বেশি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর- করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে চলতি বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ভারতের থেকে বেশি হতে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ।
মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বলা হয়েছে, ডলারের হিসাবে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি চলতি ক্যালেন্ডারে ৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৮৮৮ ডলারে দাঁড়াতে পারে। অন্যদিকে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ১০.৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৭ ডলারে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে, যা গত চার বছরে সর্বনিম্ন হবে।
দেশটির গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, করোনার এই ধাক্কায় ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় গরিব দেশ হচ্ছে। তাদের থেকে কেবল পিছিয়ে থাকছে নেপাল এবং পাকিস্তান।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ভারতের চেয়ে এগিয়ে।
মাথাপিছু জিডিপি হলো কোনো দেশের জনপ্রতি আউটপুটের একটি পরিমাপ, যা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর সঙ্গে ওই দেশের মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে হিসাব করা হয়।
মাথাপিছু জিডিপি অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এক দেশকে অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করার সময় মাথাপিছু জিডিপি বিশেষত কার্যকর, কারণ এটি দেশগুলোর তুলনামূলক কর্মক্ষমতা দেখায়।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের ডেটাবেজ বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নভেল করোনাভাইরাসে শ্রীলঙ্কার পর ভারতই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
এই ক্যালেন্ডারে ভারতের তুলনায় নেপাল এবং ভুটানের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ভালো।
আইএমএফের পরিসংখ্যানে ২০২১ সালে আবার ভারতের অগ্রগতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ওই সময়ে বাংলাদেশের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে পারে প্রতিবেশী দেশটি।
২০২১ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ৮.২ শতাংশ অগ্রগতি হয়ে ২ হাজার ৩০ ডলারে দাঁড়াতে পারে। বিপরীতে বাংলাদেশের অগ্রগতি হতে পারে ৫.৪ শতাংশ বা ১ হাজার ৯৯০ ডলার।
পাঁচ বছর আগেও ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল।
সূত্র: দেশ রুপান্তর
আর/০৮:১৪/১৪ অক্টোবর