জাতীয়

চতুর্থ ধাপে ৫৫ পৌরসভায় ভোট আজ

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি – চতুর্থ ধাপের ৫৫টি পৌরসভায় ভোট হবে আজ রোববার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে। এই ধাপে ব্যালট পেপারে হবে ২৬টিতে এবং ইভিএমে হবে ২৯টি পৌরসভায়। এবার সুষ্ঠু ও সংঘাতহীন ভোটের আশা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দিকনির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই ধাপে নির্বাচনের জন্য ৫৬টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে ইসি। পরে সোনাইমুড়ি ও ত্রিশাল পৌরসভা এ ধাপে যুক্ত হয়। অপরদিকে হাইকোর্টের আদেশে নাটোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় সব পদে প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় এখানে ভোটের প্রয়োজন হবে না। আর জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভা নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধের পর ফের চালু হয়। এছাড়া সহিংস ঘটনায় মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ভোট স্থগিত করে ইসি। এজন্য সবমিলিয়ে ৫৫টিতে ভোট হচ্ছে আজ।

ইসি সচিবালয়ের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গতকাল শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। এজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’

আরও পড়ুন : দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪টি হেলিকপ্টার কিনবে সরকার

গোপনকক্ষ সুরক্ষিত নয় মর্মে অনেক অভিযোগ এসেছে অতীতে, চতুর্থ ধাপের ভোটে ইসির ভূমিকা কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে যা বলতে পারি, একেবারে ডিআইজি থেকে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন এমন কোনো কিছু না ঘটে। এজন্য যা যা করতে হবে, সে নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যা যা দরকার আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক থেকে যা যা দরকার সেগুলো ঠিকঠাক করেছি। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকভাবে দেখেছি। আশা করি, অন্তত এরপর থেকে যে নির্বাচন হবে, ভালো হবে সুষ্ঠু হবে; সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না।’

ইসি সূত্রে জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ও ইসির সিদ্ধান্তে কয়েকটি পৌরসভায় ভোট স্থগিত ও পরে চালু হয়েছে। এ কারণে পরিসংখ্যান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইসিকে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৫৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে ২২১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৭৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬১৮ প্রার্থী আছেন। এসব পৌরসভায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৭টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটার আছেন ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৫ জন ও মহিলা ৮ লাখ ৪৪ হাজার ১৫২ জন। তবে সংখ্যা কিছুটা হেরফের হতে পারে।

ইসি জানায়, এ নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকছেন। আর পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১৬৭টি র‌্যাবের টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বিজিবি ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ১২টি পৌরসভায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অতিরিক্ত র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে এবার পাঁচ ধাপে হচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। প্রথম ধাপের তফসিলে ২৪ পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয়। তৃতীয় ধাপে ৬৩ পৌরসভায় ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। আর পঞ্চম ধাপের ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ
এন এইচ, ১৪ ফেব্রুয়ারি

Back to top button