গাইবান্ধা

আ’লীগ নেতার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

গাইবান্ধা, ১১ ফেব্রুয়ারি – গাইবান্ধার ফুলছড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকারের লাশ নিয়ে উপজেলা সদরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তারা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলার পর বিকালে তার মৃত্যু হয়।

গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লাল মিয়া সরকারের লাশ ফুলছড়ি উপজেলা সদরে পৌঁছায়। এ সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

বিক্ষুব্ধ শত শত লোকের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফুলছড়ি থানা চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা নিহত লাল মিয়া সরকারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায়।

আরও পড়ুন : বাথরুমে মিললো মাদরাসাছাত্রীর লাশ

এ সময় বক্তব্য রাখেন- ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ, নিহত লাল মিয়ার পুত্র মুরশিদ আলী।

পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত থাকার পরামর্শ ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকার উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গত মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। তিনি উড়িয়া ইউনিয়নের সাদেক খাঁ বাজারে পৌঁছলে প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেন ও সাদেক খাঁর কিছু লোক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়।

এ সময় তাদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে লাল মিয়া সরকারের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকালে তিনি মারা যান।

সূত্র : যুগান্তর
এন এইচ, ১১ ফেব্রুয়ারি

Back to top button