জাতীয়

সোলার মিনি গ্রিডের দাম নির্ধারণে দুর্নীতি দেখছে ক্যাব

সঞ্চিতা সীতু

ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি – সোলার মিনি গ্রিডের দাম নির্ধারণে ৫ দফা দুর্নীতির প্রতিকার চাইলো কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সম্প্রতি টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (স্রেডা) দেওয়া এক চিঠিতে এসব দুর্নীতির প্রতিকার চাওয়া হয়েছে।

চিঠি পাঠানোর কথা নিশ্চিত করেছেন ক্যাব এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা একই সঙ্গে মিনি গ্রিড-এর বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি স্রেডাকে। ইডকল স্রেডাকে মূল্যহার নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে যা সুস্পষ্টভাবে আইনের লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।

ক্যাব এর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গড়ে ওঠা সোলার মিনি গ্রিডের ব্যয়ের কোনও তারতম্য নেই। বরং ক্ষেত্র বিশেষে আগের তুলনায় অনেক বেশি দামে মিনি গ্রিডে নির্মাণ করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন : এমন হারের কারণ জানালেন মুমিনুল

চিঠিতে বলা আরও হয়েছে, ২০১৫ সালে সোলার মিনি গ্রিডের কিলোওয়াট প্রতি ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৯৫ টাকা। অন্যদিকে ২০২১ সালে এসে দাম দাঁড়িয়েছে ৪২৫ টাকা। কিন্তু সারাবিশ্বে সৌর বিদ্যুতের দাম কমে এসেছে। সেখানে দেশে এই বৃদ্ধিকে সন্দেহজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক্যাব বলছে, বিশ্বব্যাপী এ ধরনের হার্ড এবং সফট উভয় ব্যয় কমলেও কীভাবে ইডকল বেশি দরে প্রকল্প করছে সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। বলা হচ্ছে অধিকাংশ মিনি গ্রিড ভোক্তার চাহিদা মাফিক বিদ্যুৎ দিতে পারে না। ফলে যেসব শর্তে ইডকল এইসব মিনি গ্রিড করার অনুমতি পায় তা সঠিকভাবে প্রতিপালিত হয় না। ইডকলের ডিজাইন অনুযায়ী যে যে যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কথা সেই সব যন্ত্রাংশ মান সম্মত নয় বলেও ক্যাবের দাবি।

চিঠিতে বলা হয়েছে ইডকলের অর্থায়নে করা প্রকল্পগুলো দুর্নীতি সম্পৃক্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সোলার মিনি গ্রিড নির্মাণ শুরু হয়। অনগ্রসর এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে দেশে এমন ১৯টি মিনি গ্রিডের অনুমোদন দেয় সরকার। এসব মিনি গ্রিড থেকে দেশের প্রান্তিক মানুষকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৩০ টাকা ৪৮ পয়সা থেকে ৩৫ টাকা ৮২ পয়সায় কিনতে হয়েছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব দুর্গম এলাকা বিদ্যুৎ সঞ্চালনের আওতায় আসায় মিনি গ্রিডের বিদ্যুৎ আর কেউ নিচ্ছে না। এজন্য বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে সরকার আরইবির মাধ্যমে এসব মিনি গ্রিডের বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী এসব মিনি গ্রিডের বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের এখতিয়ার স্রেডার না থাকলেও তাদেরকেই দাম নির্ধারণের চাপ দিচ্ছে ইডকল।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এন এ/ ০৭ ফেব্রুয়ারি

Back to top button