মিরাজের ঝড় কাটিয়ে খেলায় ফিরল উইন্ডিজ
চট্টগ্রাম, ০৬ ফেব্রুয়ারি – জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
এ মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা।
আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ৩৯৫ রান। সে লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো করলেও পরে আর তা ধরে রাখতে পারেনি ক্যারিবীয়রা।
সেই মিরাজের ঘূর্ণিজাদুতে ধরাশায়ী হলেন প্রথম দিকের ৩ ব্যাটসম্যান। ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ১৬ ওভারে ৩৯ রান করে ফেলেছিলেন ব্রেথওয়েট আর ক্যাম্পবেল। ক্যাম্পবেল ২৩ আর ব্রেথওয়েট ২০ রানে সাবলিল ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তা আর হতে দিলেন না মিরাজ। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে জন ক্যাম্পবেলকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ।
আরও পড়ুন : টাইগারদের সুবিধার কথা ভাবায় কিউই বোর্ডকে বিসিবির ধন্যবাদ
নিজের পরের ওভারেই ফেরান অধিনায়ক ব্রাথওয়েটকে। মিরাজের বলটি সমীহ করে খেলেছিলেন ক্রেইগ ব্রেথওয়েট। বলটি ব্যাট-প্যাড হয়ে মাটিতেই পড়তে যাচ্ছিল। কিন্তু ব্যাটের একেবারে কাছে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করা সাকিবের বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বি চোখের পলকে বাঁ হাতে তালুবন্দি করেন। তার এক হাতে নেয়া সেই ক্যাচেই মেহেদি হাসান মিরাজ তুলে নেন দ্বিতীয় ইনিংসের নিজের দ্বিতীয় উইকেট।
জোড়া আঘাত হেনেও মন ভরেনি মিরাজের। এর দুই ওভার পর তৃতীয়বারের মতো ক্যাবিরীয় শিবিরে আঘাত হানে মিরাজের ঘূর্ণিঝড়।
এর সেই ঝড়ে উড়ে গেলেন শেন মোজলি। ক্যাম্পবেলের মতো এলবিডব্লিউ হলে সাজঘরে ফেরেন মোজলিও। ২৪ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন মোজলি।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্রিজে এখন দেখেশুনে খেলছেন এনক্রুমাহ বোনার ও কাইল মায়ার্স।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বোনার ৯ ও মায়ার্স ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। দলের এ মুহূর্তে সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান। অর্থাৎ জয় পেতে আরও ৩০৯ রান করতে হবে উইন্ডিজকে। হাতে আছে ৭ উইকেট।
সূত্র : যুগান্তর
এন এইচ, ০৬ ফেব্রুয়ারি