এশিয়া

এবার মিয়ানমারে টুইটার-ইনস্টাগ্রাম বন্ধ

নেপিডো, ০৬ ফেব্রুয়ারি – ফেসবুকের পর এবার টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত’ গ্রাহকদের ওই দুটি সাইটে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে বলে দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনর নিশ্চিত করছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ‘স্থিতিশীলতার’ লক্ষ্যে এর আগে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দেন অভ্যুত্থানের নেতারা।

মিয়ানমারে ৫ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। সম্প্রতি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লোকজন যেভাবে বিক্ষোভ করছে তার ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই হয়তো গুরুত্বপূর্ণ এই প্লাটফর্ম বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : কতটা চাপে পড়বে মিয়ানমার

ফেসবুক বন্ধের পর দেশবাসী টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে সক্রিয় হয়ে পড়েন। এই দুটি প্ল্যাটফর্মেই অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করছিলেন। এরপর শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে আর ঢোকা যায়নি।

এই দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের বিষয়ে অভ্যুত্থানের নেতারা কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এএফপি জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের অসমর্থিত একটি নথিতে বলা হয়েছে, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে’।

এদিকে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের আটক করার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা ইয়াঙ্গুনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং অং সাং সু চির পক্ষে স্লোগান দেন।

গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তারপর থেকেই মূলত দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা। প্রথম থেকেই সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ করে আসছে। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনেই মূলত সোমবার ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে দেশজুড়ে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ০৬ ফেব্রুয়ারি

Back to top button