কুমিল্লা

এক মাসুদের হাতে জিম্মি ১৭ পরিবার

কুমিল্লা, ০১ ফেব্রুয়ারি – কুমিল্লার মুরাদনগরে মাসুদুর রহমান ওরফে মাসুদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৭ পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা মামলা, জাল দলিল, অপহরণসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে এসব পরিবারকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আজ সোমবার দুপুরে মুরাদনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাসুদের ‍বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন তারা।

অভিযুক্ত মাসুদুর রহমান (৪৩) উপজেলার ৯ নম্বর কামাল্লা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল করিম ওরফে কনু মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা মাসুদের নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরেন। নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত দুধ মিয়া ব্যাপারীর ছেলে কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাসুদ কামারচর মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের পাঁচ শতক জায়গাকে ১৫ শতক বানিয়ে নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। এ ছাড়া ১৮ শতক সম্পত্তি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তার স্ত্রী সারমিন আক্তার সুমিকে লিখে দিয়েছেন। অথচ ওই ১৮ শতকের মধ্যে নয় শতক সম্পত্তির মালিক কাদির ও বাকি নয় শতকের মালিক জুয়েলসহ চার জন।’

কামাল উদ্দিন বলেন, ‘মাসুদ আরও একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে ৪৩৪৩ দাগ থেকে ৩৩ শতক সম্পত্তি দাবি করেন। অথচ ওই দলিলের মুল মালিক আছানপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনসহ চারজন। মাসুদ এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সারমিন আক্তার সুমিকে দিয়ে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে এল.এস.টি মামলা দিয়ে অহেতুক হয়রানি করছেন।’

আরও পড়ুন : দেশে অবসরে ‘ঝালমুড়ি’ বিক্রি করছেন চীনের শিডিয়ান ভার্সিটির ছাত্র

এ ছাড়া চিকিৎসার নামে নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত বাতেন সরকারের ছেলে আলাউদ্দিনকে (৪৫) অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে মাসুদের বিরুদ্ধে। অপহণের শিকার আলাউদ্দিন দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘সরলতার সুযোগ নিয়ে ঢাকা শহরে ভালো ডাক্তার দেখানোর কথা বলে চন্দনাইল নিয়ে আমাকে আটকে রাখেন মাসুদ। পরে আমার পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। স্থানীয় মাতাব্বর হানিফ মিয়ার মধ্যস্থতায় দুই লাখ টাকা পরিশোধ করলে আমি ছাড়া পাই।’

নোয়াগাঁও গ্রামের মাতাব্বর হানিফ মিয়া বলেন, ‘জালিয়াতি, অপহরণ, মাদক ব্যবসা, অবৈধ ড্রেজার ও জাল টাকার ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত মাসুদ। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিচয় শুনেই তিনি কল কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, ‘মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। নতুন করে কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র : আমাদের সময়
এন এ/ ০১ ফেব্রুয়ারি

Back to top button