জাতীয়

বর্জ্য সংগ্রহের নামে বাণিজ্যে মেতেছে প্রভাবশালীরা

ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি – বর্জ্য সংগ্রহের নামে নগরবাসীকে জিম্মি করে বাণিজ্যে মেতেছে প্রভাবশালীরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কার্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিলেও তারা নিয়ম মানছে না। নগরবাসীকে জিম্মি করে আদায় করছে অতিরিক্ত অর্থ। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে নগর কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলো থেকে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বর্জ্য সংগ্রহের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত। বর্জ্য বাণিজ্য বন্ধ করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানকে বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়।

আরও পড়ুন : শুরু ভাষার মাস, রক্তে রাঙ্গানো ফেব্রুয়ারি

নগরবাসী হোল্ডিং ট্যাক্সের সাথে প্রতি বছর পরিচ্ছন্নতার কর পরিশোধ করেন। তারপরও নগর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি বাড়ির পরিচ্ছন্নতা কর ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে। তবে করের সে নিয়ম কাগজেই সীমাবদ্ধ। বর্জ্য সংগ্রহের নামে নগরবাসীর কাছ থেকে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। দোকান, রেস্তোরাঁ বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে গুণতে হয় আরও বেশি টাকা। ডিএসসিসির মেয়র সন্ধ্যার পর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও তার তোয়াক্কা করে না দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

নগরবাসীরা বলেন, ময়লা ঠিক মতো নেয় না। জসিম এন্টারপ্রাইজের রশিদে লেখা ১০০ টাকা কিন্তু আমাদের কাছ থেকে নেয় ২০০ টাকা করে। আগের চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে। তবে ময়লা সঠিক সময়ে নেয় না।

এ বিষয়ে জানতে দক্ষিণ সিটির প্রধান বর্জ্য কর্মকর্তার দপ্তরে যায় আরটিভি। ঠিক সে সময় অভিযোগ জানাতে এক নগরবাসী ফোন করেন। তখন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন কর্মকর্তারা।

ডিএসসিসির বর্জ্য বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা এয়ার কমোডর বদরুল আমিন বলেন, কোনো কোনো স্থানে ১০০ টাকার চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে। এটি কোনও ভাবে কাম্য নয়। আমাদের যে নীতিমালা তাদেরকে দিয়েছি তা মানা হচ্ছে না। যে সময় বা নীতিমালা দেওয়া হয়েছে তাতে সকলকেই আসতে হবে।

অচিরেই শৃঙ্খলায় ফিরবে নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার। সেই পুরনো আশ্বাসই দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সূত্র : আরটিভি
এন এইচ, ০১ ফেব্রুয়ারি

Back to top button