বাচ্চাদের দাঁতের ক্ষয় রোধে যা করণীয়
দুধের দাঁত পড়ে যাবে এই ভেবে অনেকেই শিশুদের দাঁতের যত্নে ততটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু এই ধারণা ভুল। দুধের দাঁতের সুস্থতা ভবিষ্যতে স্থায়ী দাঁতের গঠনের ওপরও প্রভাব ফেলে। তাই ছোটবেলা থেকেই দাঁতের সঠিক যত্ন করা জরুরি।
দাঁতের ক্ষয় হয় কেন?
দাঁতের ক্ষয়ের প্রধান কারণ হলো মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও অতিরিক্ত চিনি। যখন শিশু নিয়মিত মিষ্টিজাতীয় খাবার বা চিনি-যুক্ত পানীয় খায় এবং দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করে না, তখন এই ব্যাকটেরিয়া অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়। আর এভাবেই শুরু হয় দাঁতের ক্ষয়।
করণীয়:
১. নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করানো:
শিশুকে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করাতে হবে। দুই বছর বয়সের পর থেকে ফ্লুরাইডযুক্ত শিশুদের উপযোগী টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. চিনি ও মিষ্টিজাত খাবার নিয়ন্ত্রণ:
চকলেট, মিষ্টি, কোমল পানীয় ইত্যাদি খাবারে চিনি বেশি থাকে। শিশুদের এগুলো নিয়মিত খাওয়ানো ঠিক নয়। দিনে একবার খাওয়ালেও খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার করা উচিত।
৩. শিশুকে নিজের দাঁতের যত্ন নিতে শেখানো:
ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দাঁতের যত্নের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। ব্রাশ করা, কুলি করা বা টুথপেস্টের পরিমাণ কেমন হওয়া উচিত এসব ধাপে ধাপে শেখানো দরকার।
৪. নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে চেকআপ:
প্রতি ৬ মাস আন্তর অন্তর দাঁতের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে দাঁতের অবস্থা পরীক্ষা করানো ভালো। অনেক সময় দাঁতের ক্ষয় শুরু হলেও বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
৫. রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ার পর পানি পান:
অনেক শিশু রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খায়। দুধে থাকা প্রাকৃতিক চিনি দাঁতে লেগে থেকে ক্ষয় তৈরি করতে পারে। তাই দুধ খাওয়ার পরে একটু পানি খাওয়ানো বা ব্রাশ করানো উচিত।
শিশুর সুস্থ দাঁতের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন নেয়া। শুরু থেকেই দাঁতের যত্নে গুরুত্ব দিলে ভবিষ্যতে অনেক জটিলতা এড়ানো যায়।
আইএ