উত্তর আমেরিকা

জনসনের এক ডোজের টিকা ৬৬ শতাংশ কার্যকর

ওয়াশিংটন, ৩০ জানুয়ারি – করোনাভাইরাসের একাধিক ধরনের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি এক ডোজের টিকার ব্যাপক পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে ৬৬ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়ার দাবি করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। বিশ্বব্যাপী তৃতীয় ধাপের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ফলাফল পাওয়া গেছে।

তবে জনসন জানিয়েছে, শুধু গুরুতর পর্যায়ের কোভিড–১৯ প্রতিরোধে টিকাটি ৮৫ শতাংশ কার্যকর। জনসন এক ডোজের এই টিকা তৈরি করছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার এই ফলাফল প্রকাশ করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সহনীয় ও গুরুতর রোগ প্রতিরোধে তাদের তৈরি টিকা ৭২ শতাংশ কার্যকর বলে দেখা গেছে।

প্রায় ৪৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই পরীক্ষার আওতায় নেওয়া হয়েছিল। লাতিন আমেরিকায় মধ্যম ও মারাত্মক ধরনের কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার মাত্রা ৬৬ শতাংশ এবং বিশেষভাবে উদ্বেগজনক ধরন ছড়িয়ে পড়া সাউথ আফ্রিকায় এ টিকার কার্যকারিতা মাত্র ৫৭ শতাংশ মিলেছে।

আরও পড়ুন : টিকা পেতে দেরি হওয়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়াল সৌদি

এর আগে ফাইজার ও মডার্নার দুটি অনুমোদিত টিকার দুটি ডোজ উপসর্গমূলক রোগ প্রতিরোধে প্রয়োগ করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। তবে ওসব পরীক্ষা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনগুলো বিস্তৃত আকারে ছড়ানোর আগের।

জনসন অ্যান্ড জনসনের পরীক্ষার প্রধান লক্ষ্য ছিল মাঝারি থেকে মারাত্মক ধরনের কোভিড-১৯ প্রতিরোধ। ওই টিকার প্রয়োগ সমস্ত ভৌগোলিক এলাকাজুড়ে মারাত্মক রোগ হাসপাতালে ভর্তি প্রতিরোধে এবং একাধিক ধরনের বিরুদ্ধে টিকার প্রয়োগের ২৮ দিন পর ৮৫ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে।

জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পল স্টোফেলস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, উল্লিখিত মাত্রার প্রতিরোধ ‘কোভিড-১৯ এর মারাত্মক ও প্রাণঘাতী পরিণতি থেকে কোটি মানুষকে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা’ দেবে।

এই টিকার জরুরি প্রয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করেছে কোম্পানিটি। বহু কাঙ্ক্ষিত সরবরাহ বাড়াতে ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকা কর্মসূচি সহজ করতে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার পথ চেয়ে বসে আছেন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ফাইজার/বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকার মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হবে না বা পাস্তুরায়ন দরকার হবে না। এর ফলে বিশ্বের দুর্বল পরিবহন অবকাঠামো ও অপর্যাপ্ত হিমাগার সুবিধার অঞ্চলগুলোতে এই টিকা জোরালো প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবে।

সূত্র : আমাদের সময়
এন এ/ ৩০ জানুয়ারি

Back to top button