জাতীয়

খুনি রাশেদকে ফেরাতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ

ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি – দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচনা করবে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়ে নতুন মার্কিন প্রশাসনকে আমরা বলবো।’

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল প্রায় ২৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেন। এই উদ্যোগের ফলে রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী হয়ে ওঠে। এখন হোয়াইট হাউসে ক্ষমতার পালাবদল হলেও যাতে চলমান আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয়, বাংলাদেশ সেই অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রকে জানাবে।

উইলিয়াম বার এ বিষয়ে একই বছরের ১৭ জুন এক অন্তর্বর্তী আদেশে বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলকে রাশেদ চৌধুরীর মামলাটি পুনর্বিবেচনার নোটিশ দেন। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার লক্ষ্যে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল ওই মামলায় জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মতামত চান। ঢাকার কর্মকর্তারা মনে করেন, মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের ওই সিদ্ধান্ত এখনো বলবৎ আছে।

আরও পড়ুন : ‘মাসোহারা’ না পেয়ে ৭ লাখ টাকার ওষুধ পোড়ালেন ক্যাম্প ইনচার্জ

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার ফলে ফেরত আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নতুন মার্কিন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর প্রক্রিয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ আশা করে, এতে আইনি যে প্রক্রিয়া আগেই শুরু হয়েছে, তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ বিষয়টি তুলবে। একই সঙ্গে এটি দ্রুত নিষ্পত্তির অনুরোধ জানাবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী আছেন কানাডায়। বাকি তিনজন খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান অজানা।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী আছেন কানাডায়। বাকি তিনজন খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান অজানা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় রাশেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে ২০০৪ সালে অভিবাসন বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি আপিল করে। ২০০৬ সালে ওই আপিল খারিজ হয়ে যায়।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। ২০১৬ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এই আলোচনার কোনও অগ্রগতি হয়নি। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পরে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়টি একাধিকবার বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। ২০২০ এর জুনে তৎকালিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।

সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডি
এন এ/ ২৫ জানুয়ারি

Back to top button