রাজীবের ছেড়ে যাওয়া বন দফতর আপাতত নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা, ২২ জানুয়ারি- ভোটের মুখে নতুন করে বন দফতরের দায়িত্ব আর কাউকে দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ছেড়ে যাওয়া বন দফতর আপাতত নিজের হাতেই রাখছেন তিনি৷ নবান্ন সূ্ত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর অধীনে থাকা সেচ, পরিবহণ ও জলসম্পদ বিভাগের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বন দফতর। ফলে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই মুহূর্তে সেচ, জলসম্পদ, পরিবহণ এবং বন দফতরের মতো অতিরিক্ত দায়িত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকালেই চিঠি পাঠিয়ে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ করতে যান তিনি। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে রীতিমতো কান্নায় ‘ভেঙে’ পড়েন রাজীব। ধরা গলায় বলেন, ‘‘অনেক বেদনা নিয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলাম। সম্প্রতি সতীর্থদের কথায় অত্যন্ত আহত হয়েছি। ব্যক্তিগত আক্রমণও করা হয়েছে। আর নিতে পারছিলাম না, বিশ্বাস করুন।’’
আরও পড়ুন : তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, কড়া সিদ্ধান্ত
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিন রাজীবের ইস্তফার পর বলেন, ‘কাজ করবার ইচ্ছে থাকলে দলে অনেক কাজ করা যায়৷ যেখানে যাচ্ছেন বুঝবেন কাজ করবার কত সুবিধা আর অসুবিধা৷ সাড়ে ন বছর সব ভোগ করলাম৷ তার পর নির্বাচনের আগে মনে হল কাজ করতে পারছি না৷ বিজেপি-তো এদের মুখগুলো ব্যবহার করছে শুধু তৃণমূলের বিরোধিতা করার জন্য৷ মানুষই এদেরকে জবাব দেবেন৷’ পার্থর আরও দাবি, রাজীবের জন্য তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না৷
রাজীবকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, ‘দলের কর্মীরা তো কেউ যাচ্ছেন না৷ তাঁরা একজোট আছেন৷ কর্মীরাই তৃণমূলের শক্তি৷ আর সমুদ্র থেকে দু’ ঘটি জল তুলে নিলে কিছু যায় আসে না৷ ঠিক যেমন দুটো পাতা ঝরে গেলে বটগাছের কিছু হয়না, আবার নতুন পাতা গজায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেই একটা ইঞ্জিন৷ তিনিই সবাইকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন৷ কে কোন স্টেশনে নেমে গেলেন, তাতে কিছু যায় আসে না৷’
সূত্র: কলকাতা২৪x৭
আর/০৮:১৪/২২ জানুয়ারি