জাতীয়

টিকা উপহার দেওয়ায় মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ২১ জানুয়ারি – উপহার হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরপূর্তির অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনে তিনি এ ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন, যেটা আমরা পেয়েছি ভারত থেকে উপহার স্বরূপ, সেটা এসে পৌঁছে গেছে। এ জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাই’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেটা টাকা দিয়ে কিনেছি, সেটা ২৫ বা ২৬ তারিখ এসে পৌঁছাবে। এ ভ্যাকসিন কীভাবে দেওয়া হবে, সব বিষয়ে পরিকল্পনা আমরা নিয়ে রেখে দিয়েছি’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে করোনাভাইরাসের জন্য বিশ্ব স্থবির। আমিও ঘরে বন্দি। মাঝে মাঝে মনে হয় ২০০৭ সালে যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলাম তখন একটা ছোট কারাগারে ছিলাম, এখন মনে হচ্ছে একটা বড় কারাগারে আছি। যে কারণে আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন হচ্ছে, কিন্তু সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা সত্যিই আমার জন্য খুব কষ্টের, দুঃখের। মনটা পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে, কিন্তু উপায় নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুসরণ করেই দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য সুদিন আসছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আগামী দিনের পথ চলায়, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যে দক্ষ মানব শক্তি দরকার, এ মানবশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই গড়তে পারে বা এখান থেকে যাত্রা শুরু করতে পারে, যাকে অনুসরণ করে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়। তারাও সেভাবে কাজ করবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তাল মিলিয়ে যেন চলতে পারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে তার কেন্দ্রবিন্দু।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, যেটা আমরা আনতে পেরেছি। অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টায় প্রতি রাতে অস্ত্রের ঝনঝনানী শোনা যায় না, গোলাগুলিও শোনা যায় না, বোমাবাজিও শোনা যায় না। অবশ্য বলা যায় না, আজকেই কথা বললাম, হয়ত আজকেই কেউ টাস করে একটা ফোটাতে পারে। এটা অবশ্য আমাদের দেশে হয়ে থাকে। ওটা কিছু না, এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মতো দক্ষতা যথেষ্ট আছে।

তিনি বলেন, আর এর জন্য যে কোনো বাধা অতিক্রম করতে আমি সচেষ্ট। আমি বিশ্বাস করি, এটা মানুষও উপলব্ধি করতে পারে। একটা সময় ছিল, যখন অন্যের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হত। সাহস পেয়েছি বাবার কাছে। সব সময় বাবার আদর্শে চলেছি, তাই মনের মধ্যে কোনো ভয় বা দ্বিধা নেই। মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, একটা সিদ্ধান্ত নিলে সেটা বাস্তবায়ন করা যায়।

তিনি বলেন, করোনা আমাদের জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এসেছে। কিন্তু এর সব অতিক্রম করতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হব। এরপরেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি কাঠামো রেখে যাচ্ছি। ২০৭১ সালে যেদিন দেশের শতবর্ষ উদযাপন হবে, সেদিন বেঁচে থাকব না। কিন্তু যারা থাকবে, তারা যেন উন্নত দেশে সেদিনটা উদযাপন করতে পারে, এটাই আমার ইচ্ছা।

সুত্র : দেশ রূপান্তর
এন এ/ ২১ জানুয়ারি

Back to top button