ফরিদপুর

বরকত-রুবেলের অর্থপাচার মামলা: দুই ইউপি চেয়ারম্যান জেলহাজতে

ফরিদপুর, ১৯ জানুয়ারি- ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় সদর উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জজ ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। আদেশের পর তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর যুবলীগের সদস্য শহীদুল ইসলাম মজনু (৪৭) এবং সদরের কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির বেলায়েত হোসেন (৪৬)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দায়ের করা দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলা হয় ঢাকার কাফরুল থানায়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হন বরকত ও রুবেল। গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শহীদুল ইসলাম ও ফকির বেলায়েতের নাম আসে আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ও তাদের সহযোগী হিসেবে।

এ খবর জানার পর ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপন করেন। পরে তারা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্টে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। জামিন শেষে তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত মঙ্গলবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন : মানিকগঞ্জে ঘনকুয়াশায় বাস উল্টে গিয়ে আহত ২০

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম বিশ্বাস জানান, মঙ্গলবার বরকত-রুবেলের সহযোগী ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন শুনানি হয়। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী প্রসিকিউটর মো. ফরিদ আহমেদ ও অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহ আলম ও মো. বাহার।

দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে শহীদুল ও বেলায়েতকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

সূত্র: দেশ রুপান্তর

আর/০৮:১৪/১৯ জানুয়ারি

Back to top button