জাতীয়

করোনা: আরও ২৭০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা

ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি – করোনা ভাইরাস মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দু’টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নতুন এ দু’টি প্রণোদনা কর্মসূচি অনুমোদন করেছেন। যা অবিলম্বে বাস্তবায়ন শুরু হবে।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, নতুন অনুমোদিত প্রথম প্যাকেজটির আকার এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার আওতায় ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাত ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গৃহীত কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থাকে (বিসিক) ১০০ কোটি টাকা এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে এনজিও ফাউন্ডেশনকে ৫০ কোটি টাকা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনকে ৩০০ কোটি টাকা, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনকে ১০০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : জঙ্গিবাদের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলতে চাই

অনুমোদিত দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের ১৫০টি উপজেলায় দরিদ্র সব বয়স্কদের এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সব নারীকে ভাতার আওতায় আনা হবে। এছাড়া নতুন অনুমোদিত এ দু’টিসহ মোট প্রণোদনা প্যাকেজের সংখ্যা হলো ২৩টি, যার মোট আর্থিক পরিমাণ এক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা (জিডিপি’র ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ)।

প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও প্রণোদনা প্যাকেজের যাবতীয় দিক নিয়ে অর্থবিভাগ সম্প্রতি তিনটি মতবিনিময় সভা আয়োজন করে। এ সভাগুলোতে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী নেতারা, ব্যাংক, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন খাতের অংশীজন, প্রেস ও মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকরা।

সভাগুলোতে করোনা মোকাবিলায় গ্রামীণ অর্থনীতিকে বেগবান করার লক্ষ্যে ব্যাংক ব্যবস্থার পাশাপাশি কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও আধাসরকারি সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো, নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অব্যাহত রাখতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র অসহায় পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য সুপারিশ করা হয়।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
এন এ/ ১৭ জানুয়ারি

Back to top button