তৃণমূলে বড় পদ পেতে চলেছেন শতাব্দী
কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি- গত কয়েকদিন আগেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন! এমনকি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। এরপরেই দ্রুত তৃণমূলের তরফে যোগাযোগ করা হয় শতাব্দীর সঙ্গে। শুধু যোগাযোগ নয়, নিয়ে যাওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
দীর্ঘক্ষণ তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দী। বৈঠকের পরেই সুর নরম করেন তিনি। কার্যত বিদ্রোহে ইতি টানেন। আর এরপরেই তৃণমূলের তরফে বড় উপহার বীরভূমের সাংসদকে। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি হচ্ছেন শতাব্দী রায়। সহ সভাপতি হচ্ছেন মোয়াজ্জেম হোসেন ও শঙ্কর চক্রবর্তী।
বিজেপিতে না গিয়ে দলে থাকার জন্যেই কি শতাব্দীকে বড় পুরস্কার দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে? এমনটাই প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।
এই প্রসঙ্গে শতান্দী জানিয়েছেন, “দায়িত্ব পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমি মনে করি, আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি বরাবরই কাজ করে এসেছি। আগামীদিনে আরও ভালভাবে কাজ করতে চাই। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দলে কী কী সুবিধা-অসুবিধা হচ্ছে, তা জানালে দল তা শোনে, এটাই তার প্রমাণ। হয়ত আগে সঠিক জায়গায় যেতে পারিনি বলেই সমস্যার সমাধান হয়নি।”
উল্লেখ্য, ফ্যানপেজ ফেসবুক পোস্টে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার লাল তারিখ ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। আর এরপরেই জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী বলেন,’অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।’
এরপরই শতাব্দীর মানভঞ্জনে তৎপর হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুণাল ঘোষ। দুপুরেই শতাব্দী রায়ে আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে কুণাল ঘোষকে পাঠায় তৃণমূল। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। শতাব্দীকে ফোন করেছিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাও। সন্ধ্যেয় কুণালই শতাব্দীকে নিয়ে যান ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে।
দীর্ঘক্ষণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন শতাব্দী রায়। বৈঠক শেষে সুর নরম শতাব্দী রায়ের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের ফ্যানক্লাবের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট তৃণমূল সাংসদের। যদিও সেখানে অনেকটাই হালকা মনোভাবে দেখা যায় শতাব্দী রায়কে। পোস্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
ভোটের মুখে দলকে একত্র রাখার অঙ্গীকারও করেছেন তৃণমূল সাংসদ। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয়বার বাংলায় সরকার গঠন হবে বলে নতুন পোস্টে আশাপ্রকাশ করেছেন শতাব্দী রায়।
আরও পড়ুন : রোজভ্যালিকাণ্ডে শুভ্রা কুণ্ডুর ট্রাণজিট রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি লেখেন, তরুণ নেতাটি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল ও পরিণত। নতুন প্রজন্মের এমন নেতার নেতৃত্ব দলকে শক্তিশালী করবে। সেইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে বলেও পোস্টে জানান তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে, প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, অপরুপা পোদ্দার, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সাত থেকে আট জন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়ক বিজেপিতে আসার অপেক্ষায় আছেন। দাবি বিজেপি রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর।
শনিবার দলের তরফে ‘যুব চেতনা ও শ্রমদান’ কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে শহরের জোড় শ্রেণীর মন্দির প্রাঙ্গন পোড়ামাটির হাটের মাঠ পরিস্কারের কাজে যোগ দিয়ে তিনি এই দাবি করেন।
সূত্র: কলকাতা২৪x৭
আর/০৮:১৪/১৭ জানুয়ারি