হবিগঞ্জ

ভোট শুরুর আগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১০

হবিগঞ্জ, ১৬ জানুয়ারি – হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সর্বত্র উত্তেজনা দেখা দেয়। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপিকর্মী সফিক মিয়ার (২২) ভুঁড়ি বেরিয়ে গেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি চরগাঁও গ্রামের মন্নাফ মিয়ার ছেলে।

এছাড়া একই গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া (৩৫), নুর ইসলামের ছেলে নাহিদ মিয়া এবং সুজাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ রুবেলসহ আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আরও পড়ুন : নাম ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রার্থী বদল করল বিএনপি

পরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মুকিত চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গয়াহরি গ্রামে তিনি অবস্থান করছিলেন। এ সময় তারা খবর পান গয়াহরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরীর ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তার গাড়ি ভাংচুর করেছে। এতে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন।

অপরদিকে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী জানান, তিনি গয়াহরি গ্রামে রবিন্দ্র দাশ মেলাইর বাড়িতে রাতে সংক্রান্তির নিমন্ত্রণে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় ওই বাড়ির কাছে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী গোলাম রসুল চৌধুরী রাহেলের ভাই শায়েল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়।

এ সময় তার সঙ্গে কুশল বিনিময় চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাহেল চৌধুরী সেখানে পৌঁছান। এ সময় রাহেল উত্তেজিত হয়ে ছাবির আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তার দিকে তেড়ে আসেন রাহেল।

এ সময় তিনি গাড়ি নিয়ে চলে যেতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। তখন নৌকা সমর্থকরা সফিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় রাহেল তার প্রাইভেকারটি নিজেই ভাংচুর করেছেন। এ সময় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং হট্টগোলে প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

সূত্র : যুগান্তর
এন এ/ ১৬ জানুয়ারি

Back to top button